আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৮ এপ্রিল: অসম, ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ৩৬৮ যুবক এসেছিলেন রায়গঞ্জে। এরা প্রশাধনী দ্রব্য এবং জৈব সার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করতেন। বিক্রির লাভ্যাংশ দিয়ে এদের সংসার চলত। আচমকা লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েন এই যুবকরা। বাড়ি ভাড়া থেকে প্রতিদিনের খাবার খরচ জোগাড় করা তাদের কাছে সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়।
রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কর্ণজোড়া এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকেন তারা। তাদের সমস্যার কথা ভেবে তাদের কোম্পানি কিছু সাহায্য করেছিল। এত কর্মীদের প্রতিদিনের খাওয়ার খরচ যোগাড় করা কারোর পক্ষেই সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে কোম্পানীর ফ্রাঞ্চাচাইজির মালিক কৃষ্ণ মাহাতো কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। প্রশান্তবাবু তাদের নিয়ে রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিওর শরনাপন্ন হলে তিনি মাত্র দুই কুইন্টাল চাল দিয়ে দায়িত্ব সেরেছিলেন। চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে চলতে থাকা যুবকদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর উদ্যোগেই কর্নজোড়া অমরনাথ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ওই যুবকদের হাতে ১০ কুইন্টাল চাল, ৫ কুইন্টাল আলু, সরষের তেল এবং সাবান তুলে দওয়া হয়। খাদ্য সামগ্রী হাতে পেয়ে খুশী যুবকরা।
সংস্থার কর্ণধার কৃষ্ণ মাহাতো জানিয়েছেন, দুই কুইন্টাল চাল শেষ হবার পর তাদের খাবার কি ভাবে যোগার হবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। প্রশান্তবাবু জানতে পেরে তাদের পাশে যেভাবে দাঁড়ালেন তা কোনও দিন ভোলার নয়। আজ সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৩৬৮ জন যুবক অমরনাথ মন্দিরে হাজির হয়ে খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ করেন।