সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি:
ইসিএমও পদ্ধতিতে ফুসফুস থেকে কাদাপাঁক বেরোলেও এখনো বিপদ কাটেনি! আগের থেকে অবস্থা এখন কিছুটা ভাল হলেও পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় আহতরা এখনও সংকটমুক্ত নয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দু’জনেই এখন স্টেজ ওয়ান কোমায়। রবিবার থেকে চিকিৎসায় কিছুটা হলেও সাড়া দিচ্ছে হুগলীর পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় আহত দুই খুদে পড়ুয়া। ঋষভের তুলনায় কিছুটা হলেও ভালো রয়েছে দিব্যাংশু। তবে প্রয়োজনে ঋষভের ট্র্যাকিওস্টমি করা হতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর ভাবে আহত ঋষভের শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। তার ফুসফুস এখনও কাজ করছে না। পাঁজরের ৪টি হাড় ভেঙ্গে গিয়ে চাপ দিয়ে রেখেছে ফুসফুসকে। এই অবস্থায় শনিবার থেকেই তার মস্তিষ্কে তাজা অক্সিজেন পাঠাতে ইসিএমও যন্ত্র বসানো হয়েছে। কিন্তু ফুসফুস কাজ না করায় তাকে নিয়ে চিন্তা বেড়েছে চিকিৎসকদের।
এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋষভের ফুসফুসের ওপর ভরসা না রেখে চিকিৎসকেরা রবিবার ট্র্যাকিওস্টমি পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। এই পদ্ধতিতে কৃত্রিম ভাবে অক্সিজেন পাঠানো হয় রক্তে। তার জন্য ঋষভের গলার কাছে এদিনই একটি অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা এটাও জানিয়েছেন এই অস্ত্রপচারের পর পরবর্তী ৩টি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি এরপরেও ঋষভের ফুসফুস কাজ করা শুরু না করে তাহলে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না। তবে এত কম বয়সে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের ধকল অনেকটাই, বলছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে দিব্যাংশু কিছুটা হলেও ভালো আছে আগের তুলনায়। কারণ তার ফুসফুস কাজ করতে শুরু করেছে। তাই তার দেহে এখন দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। তার মাথার আঘাতও অনেকটাই ঠিক হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই সে স্টেজ ওয়ান কোমা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবে। তবে এখনও দিব্যাংশুকে ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে।