আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৯ অক্টোবর: তৃণমূলের মহিলা শাখার ওপর আর ভরসা না থাকায় তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা শাখার পাশাপাশি শুরু করল বঙ্গজননী সংগঠন। এই সংগঠনের কাজ হল ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে মা মাটি মানুষের সরকারের প্রচার করা।বাংলার যে মায়েরা আছেন মেয়েরা আছেন তারা প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রচার ও প্রকল্পের প্রচারকে সামনে রেখে আগামী বিধানসভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ভোট বৈতরণী পার করতেই এই বঙ্গ জননী সংগঠন, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, মহিলা তৃণমূল কর্মীদের ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কোনও মতেই ভরসা রাখতে পারছেন না। রেশন দুর্নীতি, সরকারি ঘর নিয়ে দুর্নীতি, আমফানের টাকা দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি এমনকি গরিবের পায়খানার টাকা নিয়েও দুর্নীতি। সব তার দলের লোকেরা খেয়ে ফেলছেন। আর তাই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে নতুন বোতলে পুরনো মদের মতই ভোটের আগে তৃণমূলের মহিলা কর্মীর আড়ালে বঙ্গ জননী সংগঠনকেই তিনি তার নিজের প্রচারে কাজে লাগিয়েছেন। তাই তিনি বঙ্গ জননী সংগঠন তৈরি করে মানুষের কাছে আলাদা বার্তা দিতে চাইছেন। কিন্তু মানুষ আগামী দিনে ভোটের ব্যালটেই তাকে জবাবটা দেবে।
গত ২ অক্টোবর নদিয়া জেলা বঙ্গ জননী সংগঠনের অবিভক্ত সভাপতি হন টিনা ভৌমিক সাহা। তিনি জানান, আমরা মানুষের কাছে পৌঁছাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন নিয়ে। মানুষকে বোঝাবো আগামী দিনে দিদির উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি সম্বন্ধে। আমরা যথেষ্ট আশাবাদী দিদি আবার ক্ষমতায় আসবে। তার কারণ ৩৪ বছর ধরে রাজত্ব করেছিল বামেরা তাদের আমরা উপড়ে ফেলেছি। আর রইল বিজেপি। ওদের সম্বন্ধে আমরা মানুষকে বোঝাতে পারবো না। বঙ্গজননী সংগঠনের সভাপতি হওয়ার পর আমাকে কমিটি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো প্রতিটা জায়গায় বিধায়ক ব্লক সভাপতির সঙ্গে আমি আলোচনা করে বঙ্গ জননীর ব্লক সভাপতি মনোনীত করেছি। তারা আজকে মান্যতা পাবে।
তবে সাংবাদিক সম্মেলনে বঙ্গ জননী সংগঠনের সভাপতি টিনা ভৌমিক সাহাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় তৃণমূলের মহিলা শাখা থাকতেও কেন এই বঙ্গ জননী সংগঠন, তিনি সুপ্রিমো জানেন বলে এড়িয়ে যান।
কৃষ্ণনগর দোগাছি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান অর্চনা বিশ্বাস জানান, আমরা মনেকরি ভারতবর্ষে এখনো পর্যন্ত পুরুষশাসিত সমাজ। সেই হিসাবে আমাদের বাড়িতে থাকা যেসব মহিলারা রয়েছে তাদেরকে কাজের মাধ্যম দিয়ে নারীদের নিয়ে যে ভাবনা তা একমাত্র আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে মহিলাদের এগিয়ে আনতে। মহিলারা তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে মহিলাদের মাধ্যম দিয়েই।তারা পুরুষদের কাছে সব কথা বলতে পারেনা সেই হিসাবেই বোধহয় মুখ্যমন্ত্রী বঙ্গজননী চালু করেছেন।