আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২ জুলাই: রাস্তা জবরদখল মুক্ত করতে হকার উচ্ছেদের পাশাপাশি হকারদের পুনর্বাসনের চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে বাঁকুড়া পুরসভা। এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে। ইতিপূর্বে নতুনচটির কৃষাণ মান্ডিতে হকারদের জন্য স্থান নির্ধারিত হলেও অধিকাংশ হকার সেখানে যেতে রাজি হননি। অনেকে তাদের মালপত্র নিয়ে দোকানও মেলেছিলেন কিন্তু ক্রেতা না মেলায় তারা ফের রাস্তাতেই বসে পড়েন।
একদিকে হকার, অপরদিকে একশ্রেণির দোকানদার তাদের দোকানের সামনের ফুটপাত দখল করে মালপত্র সাজিয়ে রাখছেন, ফলে রাস্তায় ফুটপাত বলে কিছু নেই।শহরের প্রধান রাস্তায় ভিড় ঠেলেই যাতায়াত করতে হয়। সঙ্কুচিত রাস্তায় যানজটে জেরবার শহরবাসী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন রাস্তা জবরদখল মুক্ত করতে। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন ও পুরসভার পক্ষ থেকে রাস্তা জবরদখল মুক্ত করার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়। তিনদিন ধরে মাইকযোগে প্রচার করে রাস্তা থেকে জবর দখল সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। ১ জুলাই চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। আজ থেকেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পুরসভা আটঘাট বেঁধেই নামতে চাইছে। ইতিমধ্যেই সুভাষ রোড,বড়বাজার, রানীগঞ্জ মোড়, লালবাজারের মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা থেকে দোকানদাররা ফুটপাত ফাঁকা করলেও মাচানতলা, কলেজমোড়, পোস্ট অফিস, মসজিদ গোড়া এলাকায় যথারীতি হকাররা কেনাবেচা করছে। এমনকি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য নির্মিত শেডও জবরদখলেই।
এদিকে ব্যবসায়ী সংগঠন চেম্বার অফ কমার্সের পক্ষ থেকেও ব্যবসায়ীদের সরকারি জায়গা, ফুটপাত দখলমুক্ত করার সরকারি নির্দেশ পালন করার আবেদন জানানো হয়েছে। চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক মধুসূদন দরিপা জানান, রাস্তা, ফুটপাতজুড়ে যারা ব্যবসা করছেন তাদের সরকারি জায়গা খালি করে নিজ নিজ দোকানঘরে ব্যবসা করার আবেদন জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে পুরপ্রধান অলকাসেন মজুমদার বলেন, আমরা কাউকে উচ্ছেদ করতে চাইছি না। সরকারি জায়গা, ফুটপাত যারা দখল করেছেন তাদের খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হকারদের পুনর্বাসনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। অভিযান চালানোর আগে সদর থানার আইসি, উপপুরপ্রধান সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।