পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ অক্টোবর: আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা দানার প্রভাবে ওড়িশার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে সমুদ্র সৈকত পূর্ব মেদনীপুর জেলাতে। আজ বিকেলের পর থেকেই সুস্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।
গত দু’দিন ধরে প্রশাসনিক সতর্কতা ক্রমশ জোড়ালো হয়েছে। পর্যটক শূন্য করা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র দিঘাকে। ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দিঘায়। তার আগে আজ সকাল থেকে দিঘা সহ সমগ্র জেলাজুড়ে মেঘলা আকাশ, কখনো হালকা আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা গিয়েছে। সমুদ্রের জল বেশ উত্তাল রয়েছে। এরই মাঝেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন দিঘার সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীরা। ঝড় আসার আগে ডিগি নৌকাগুলোকে নিরাপদ স্থানে তুলে রেখে কাঠের গুঁড়ি আটকে রেখে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিয়ে কোনক্রমে পেশায় ব্যবহৃত সামগ্রী বাঁচানোর চেষ্টা করছেন সেখানকার মৎস্যজীবীরা। ঝড়ের প্রভাব কতটা পড়বে বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা হবে যদিও তা সময়ের অপেক্ষা। তবে ঝড় আছড়ে পড়ার প্রাক মুহূর্তে প্রশাসন থেকে শুরু করে দিঘার মৎস্যজীবী প্রত্যেকেই ডানার মোকাবিলায় তাদের শেষ প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন সকাল থেকেই।
যদিও সকাল থেকে আজ ঘন কালো মেঘ, দফায় দফায় বৃষ্টি ঝরছে। কখনো ভারি, কখনো মাঝারি, কখনো হালকা। দিঘা, তাজপুর, মন্দারমনিতে বেশ কিছু উৎসুক পর্যটক আজও ভিড় জমিয়েছে ঝড়ের গতি প্রকৃতি দেখবার জন্য। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। এমনিতেই গতকাল থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে পর্যটক শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের। গতকালের থেকে আজ সমুদ্র যথেষ্ট উত্তাল, ঢেউ গাড়ওয়ালে এসে ধাক্কা মারছে।