পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৮ জানুয়ারি: জনসাধারণের জন্য ব্যবহৃত আস্ত বিশ্রামাগার দখলের অভিযোগ জমিদাতার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের উজিরপুর মোড় এলাকার। সরকারিভাবে নির্মিত বিশ্রামাগার রাতারাতি বেদখল হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। আর যার জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা অসুস্থ রোগী ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস পঞ্চায়েতের।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় কুড়ি বছর আগে বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের উজিরপুর মোড় এলাকায় জনসাধারণের জন্য একটি স্থায়ী বিশ্রামাগার তৈরিতে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে নিজেদের জায়গা দান করেন এলাকার দুই বাসিন্দা নিমাই মণ্ডল ও বাবলু দাস। যাদের দান করা জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল জনসাধারনের জন্য একটি বিশ্রামাগার। অসুস্থ রোগী থেকে শুরু করে ক্লান্ত পথিক সকলেই আশ্রয় নেন পঞ্চায়েতের নির্মিত ওই বিশ্রামাগারটিতে। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন আগে সেই বিশ্রামাগারটিই রাতারাতি দখল করে নেন এক জমি দাতা বাবলু দাস। টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় বিশ্রামাগারের চারপাশও। আর যাকে ঘিরেই ক্ষোভের সঞ্চার হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে ঘিরে ফেলবার পরেও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কেন নিশ্চুপ তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

যদিও অপর এক জমিদাতা নিমাই মণ্ডল ও তার ভাই ফটিক মন্ডলরা জানিয়েছেন, দান করা জমির উপর তৈরী বিশ্রামাগার দখল করা ঠিক হয়নি। তারা তাদের দান করা জায়গা আর কখনই ফেরত চান না। জনগণের সুবিধার্থেই এই জায়গা দিয়েছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা পীযূষ বর্মন জানিয়েছেন, বিশ্রামাগারটি সকলের উপকারে লাগতো। কেন তা দখল করা হয়েছে সে বিষয়ে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে দেখা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
যদিও অভিযুক্ত বাবলু দাসের ছেলে জীবন দাস জানিয়েছেন, ওই বিশ্রামাগারে দোকান করে দখল করার চেষ্টা হচ্ছিল। যা তিনি আটকে দিয়েছেন। তবে সেটা আবার খুলে দেবেন তিনি।
বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

