ছবি: লেকটাউনের প্রবীর ধর।
রাজেন রায়, কলকাতা, ১৩ জানুয়ারি: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে শহরের দুই প্রান্তে দুই বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল। একদিকে মঙ্গলবার রাতে বিজেপি কর্মীদের মারধরের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ট্যাংরার মথুরবাবু লেন। ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন মহিলা-সহ বেশ কয়েকজন। অন্যদিকে, সোমবার রাতে লেকটাউন শ্রীভূমিতে বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধর ও মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। দুটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্যাংরার মথুরবাবু লেনে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বাপি দে নামে আক্রান্ত ওই বিজেপি নেতার দাবি, অনুষ্ঠান শেষে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। অভিযোগ, এরপরই একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী, শাশুড়ি। পরে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, লেকটাউন শ্রীভূমির বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ১১.৩০টা নাগাদ লেকটাউন শ্রীভূমি এলাকার বিজেপির বুথ সভাপতি প্রবীর ধরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, সোমবার রাতে এক ব্যক্তি প্রবীর ধরের বাড়িতে এসে বলে তাঁকে বাড়ির নীচে তার পরিচিত একজন ডাকছেন। আজ মঙ্গলবার বিবেকানন্দের উৎসব আছে বলে হয়তো সেই কারণে তাকে ডাকছে ভেবে তখনই নীচে নেমে আসেন প্রবীর ধর। অভিযোগ, এর পরই বাড়ির সামনেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই। এই ঘটনায় আহত প্রবীর ধর জানান, তাঁর গলা থেকে সোনার হার ছিনতাই করা হয়। সেগুলোও ফেরত চান তিনি। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় মাংকা নামে একজন তৃণমূল কর্মী ও তার লোকজন মিলে মারধর করছে প্রবীরবাবুকে। জানা যায়, এরপরই প্রবীর বাবুর স্ত্রী মন্ত্রী সুজিত বসুর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে, তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।
পরবর্তী সময়ে লেকটাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত প্রবীর ধরের পরিবারের সকলেই। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছেড়ে বেশ কয়েক মাস আগে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন প্রবীর ধর। এরপরই বিজেপির বুথ সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান প্রবীর ধরের স্ত্রী।