আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২০ অক্টোবর: রেশন ও মিডডে মিলে নিম্নমানের ছোলা সরবরাহ করা হচ্ছে পাঁশকুড়ার কিষাণ মান্ডির সরকারি গোডাউন থেকে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই সরেজমিনে তদন্ত করে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ওই গোডাউন সিল করলেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন রেশন দোকান ও স্কুল থেকে মিডডে মিলে যে ছোলা দেওয়া হচ্ছে তা খাওয়ার অনুপযোগী বলে অভিযোগ আসছিল। পোকা সহ শ্যাওলা ধরা কালো আস্তরণ পড়ে যাওয়া ছোলা দেওয়া হচ্ছে, যা মানুষের খাওয়ার উপযুক্ত নয়। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান সরেজমিনে আজ দুপুরে মেছেদার সরকারি একটি রেশন দোকানে যান। সেখানে তিনি গিয়ে দেখেন, যে ছোলা দেওয়া হচ্ছে তা অতি নিম্নমানের। এই পরিস্থিতিতে রেশন ডিলার জানান, এই ছোলা এম আর ডিলারের কাছ থেকে তারা পেয়েছেন। তাই তারা এই খারাপ ছোলা গ্রাহকদের দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এরপর সিরাজ খান এম আর ডিলারের কাছে খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেন এই নিম্নমানের ছোলা কোথা থেকে তারা সরবরাহ করছেন। এম আর ডিলার জানান যে, এই ছোলা তারা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার কিষাণ মান্ডির গোডাউন থেকে পাচ্ছেন। খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পাঁশকুড়ার সরকারি কিষাণ মান্ডিতে ছোলার গোডাউনে যান। গিয়ে দেখেন সেখানেও একই রকম অবস্থা ছোলার। সিরাজ খান পুলিশ ও জেলা খাদ্য দফতরের ইন্সপেক্টরের সামনে ওই গোডাউন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না পেয়ে গোডাউনটি তালা মেরে সিল করে দেন।
তিনি জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই নিম্নমানের ছোলা গ্রাহকদের দেওয়া যাবে না। নতুন করে ফ্রেশ ছোলা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এই নিম্ন মানের ছোলা জেলার মিড ডে মিলের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরও দেওয়া হচ্ছে যা নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ আসছিল। সিরাজ খাঁন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও পাঁশকুড়ার বিডিও কে পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন।