আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৪ আগস্ট: ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙ্গচুর চালালো রোগীর আত্মীয়রা। মারধর করা হয় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসককে। নষ্ট করে দেওয়া হয় প্রচুর ইনজেকশন, ওষুধ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় রামপুরহাট থানার পুলিশ। এরপর লাঠি চার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে হঠিয়ে দেয়। গ্রেফতার করা হয় ১২ জনকে। সকলের বাড়ি তারাপীঠ থানার শাসপুর গ্রামে। মৃত ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ি শাসপুর গ্রামে। সেই টানেই গ্রাম থেকে ছুটে আসেন কিছু যুবক।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে পথ দুর্ঘটনায় জখম হন আনসারুল শেখ নামে এক ব্যক্তি। তার বাড়ি পাইকর থানার হাবিসপুর গ্রামে। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় তিনি সেখানেই মারা যান। এরপরই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন রোগীর পরিবারের লোকজন। রোগীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রোগীকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর তার খিঁচুনি শুরু হয়। ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে আনসারুল সেখের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যার পর প্রায় ৭০-৮০ জন যুবক হাসপাতালে হামলা চালায়। তার মধ্যে কয়েকজন জরুরি বিভাগে ঢুকে দুই চিকিৎসককে মারধর করে। হাসপাতালের ওষুধপত্র নষ্ট করে দেয়। রবিবার ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক দুই জনকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজত এবং ১০ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, “এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। রোগীর পরিবারের আত্মীয়দের তাণ্ডবে লক্ষাধিক টাকার ওষুধ নষ্ট হয়েছে।
ঘটনার নিন্দা করেছেন রামপুরহাটের বিধায়ক, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যারা এসব করেছেন তারা ঠিক করেননি। দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক”।