আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৫ আগস্ট: বিনা চিকিৎসায় এক মাঝবয়সী ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, চিকিৎসক থেকে নার্সরা কেউ চিকিৎসায় আগ্রহ দেখায়নি। বরং দুর্ব্যবহার করেছেন। তদন্তের দাবি জানিয়ে ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্টের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন পরিবারের সদস্যরা। মৃত ব্যক্তির নাম প্রশান্ত নন্দী (৫৩)। বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট থানার খরুন গ্রামে। সোমবার সন্ধ্যায় গ্যাস অম্বল ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এরপরেই হাসপাতালের গেতের বাইরে জমায়েত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের দাবি, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধের।
মৃত বৃদ্ধের ছেলে অভিজিৎ নন্দী বলেন, “সোমবার রাতে ভর্তি হওয়ার পর একবার চিকিৎসক দেখে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে চিকিৎসক বা নার্স কারও দেখা মেলেনি। তাছাড়া বাবার সুগার ছিল না। অথচ হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে সুগার কমে যাওয়ায় মৃত্যু হচ্ছে। তাই আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা তদন্ত চাই”।
বউমা মৌমিতা নন্দী বলেন, “হাসপাতালের নার্সরা বসে বসে মোবাইল ঘাঁটছে। কিন্তু রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কোনও তাদের আগ্রহ নেই। বলতে গেলে মুখঝামটা খেতে হচ্ছে। কুকুর তাড়ানোর মতো ব্যবহার করছে। আমরা শুনেছি চিকিৎসকরা ভগবান। কিন্তু শ্বশুর মশাইকে ভর্তি করার পর সেই ভগবানের দেখা পেলাম না”।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুস্মিত ভট্টাচার্য অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। বিষয়টি ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্টকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

