আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৩১ জুলাই: জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হতে চলেছে আদিবাসী উৎসব। বৃহস্পতিবার বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিবাদের জেরে তা ভেস্তে গেল। সদর ব্লক অফিসে আদিবাসী উৎসব কমিটি গঠনের সভায় রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় ও তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের মধ্যে তুমুল বিবাদের অভিযোগ উঠল।
প্রায় ৯ বছর থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে সদর ব্লকের পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে হয়ে আসছিল এই উৎসব। এ বছর সরকারি উদ্যোগে জেলা আদিবাসী উৎসব ৭-১০ অগস্ট ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে হতে চলছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি উদ্যোগে যে আধিবাসী উৎসব হতে চলছে এই নিয়ে দুবার বৈঠক হলেও সেই বৈঠকে স্থানীয় আদিবাসী মঞ্চের সদস্যদের রাখা হয়নি৷ এ দিন তৃতীয় বৈঠকে স্থানীয় একাংশ আদিবাসী নেতা তথা মঞ্চের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এতদিন হয়ে আসা আদিবাসী উৎসবের উদ্যোক্তা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসকে কমিটিতে রাখা হয়নি বলে দাবি। এদিন রাজগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ককে এই বিষয়ে কৃষ্ণের অনুগামীরা প্রশ্ন করলে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ ও চরম তর্কাতর্কি শুরু হয়। বিধায়ক বৈঠক থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন৷
এদিন বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে বলে জানান বৈঠকে থাকা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রনয়িতা দাস৷ তিনি বলেন, “আদিবাসীদের নিয়ে অনুষ্ঠান, তাই স্থানীয় আদিবাসী নেতাদের বাদ দিয়ে হতে পারে না। এই নিয়ে এদিন বিবাদ হয়েছে। এর পিছনে কারা রয়েছে এটাই এখন প্রশ্ন।”
রাজগঞ্জ বিধানসভা আদিবাসী মঞ্চের তরফে নন্দন ওঁরাও বলেন, “আরে দুই বারের বৈঠকে আমাদের ডাকা হয়নি। তিনবারের বৈঠকে থাকা হলেও এতদিন হয়ে আসা আদিবাসী উৎসবের উদ্যোক্তাদের রাখা হয়নি কমিটিতে। বৈঠকে বিধায়ককে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সমস্যা শুরু হয়।”
বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “সরকারি উদ্যোগে উৎসব। তাই কমিটিতে কে থাকবে আর কে থাকবে না এটা তো আমি বলতে পারি না। এটা প্রশাসনিক বিষয়।”