সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৯ জুন: চাকরি দেওয়ার নামে এবার বারাসত মেডিক্যাল কলেজে প্রতারণার অভিযোগ৷ ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ওই মেডিক্যাল কলেজের এক কর্মীর। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম সৌমেন মণ্ডল৷ বর্তমানে বারাসত মেডিক্যাল কলেজের সিকিউরিটি গার্ডের সুপারভাইজার পদে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। প্রতারিত যুবকের নাম অভিজিৎ দাস ৷ অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি না-মেলায় ওই যুবক মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন এবং লিখিত অভিযোগ করেন৷ ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া।
জানা গিয়েছে, প্রতারিত ওই যুবকের বাড়ি বারাসতের বামুনমুড়ো এলাকায়৷ অভিজিৎ ডেলিভারি বয়ের কাজ করেন৷ মাস ছ’য়েক আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজের ওই সিকিউরিটি গার্ডের৷ পরিচয় সূত্রে টাকার বিনিময়ে যুবককে ওই হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন সৌমেন৷ এর জন্য তিনি প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেন অভিজিতের কাছে, এমনটাই অভিযোগ যুবকের৷ যদিও শেষ পর্যন্ত রফা হয়েছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায়৷ সেই মতো সিকিউরিটি গার্ডের সুপারভাইজার সৌমেনকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়েও দেন অভিজিৎ৷ কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও চাকরি জোটেনি যুবকের৷ এর পরেই টাকা ফেরতের দাবিতে সরব হন ওই যুবক৷ অভিযোগ, টাকা ফেরতের কথা বললেই সৌমেন বিভিন্নভাবে তা এড়িয়ে চলেন৷ তখন যুবক বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন৷ তাই দেরি না করে, পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রতারিত যুবক। তাঁর দাবি,”দিন-রাত কষ্ট করে উপার্জনের টাকা থেকেই ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলাম সৌমেনের হাতে৷ টাকার বিনিময়ে এজেন্সি মারফত হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি৷ চাকরি দেওয়া তো দূরের কথা, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না সে৷ বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি৷ শুধু দেখছি, দেখবো বলে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে যাচ্ছে আমাকে। এখন বুঝতে পারছি প্রতারিত হয়েছি। সেই কারণে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমি চাই, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারাসত মেডিক্যাল কলেজের সিকিউরিটি গার্ডের সুপারভাইজার সৌমেন মণ্ডল। পাল্টা তিনি দাবি করেন, “তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে৷ তিনি কারও কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেননি।” তবে, বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন হাপাতাল কর্তৃপক্ষ।