প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২ জুলাই: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি নির্মাণের আগেই নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু তারপরও মিলছে না বাড়ি। আবার গ্রামের বাসিন্দা নয় এমন লোককেও বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত প্রাপকদের না দিয়ে পাকা বাড়ি রয়েছে এমন লোকদের বাড়ি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে বিডিও অফিসে প্রধানের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দিলেন উপভোক্তারা।

ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের কয়থা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোগ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চায়েত প্রধান সনাতন মাল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। উপভোক্তাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করছে। না দিলে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এমনকি গ্রামের বাসিন্দা নয় এমন লোককেও বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে অসৎ উপায়ে। প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে অবস্থাপন্ন মানুষদের বাড়ির টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।

গ্রামের বাসিন্দা গণেশ মাল, সাহিনা বিবি, লালন কুমাররা বলেন, “আমরা প্রত্যেকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছি প্রধানকে। তারপরও বাড়ি দেওয়া হচ্ছে না”। গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সামিম বলেন, “প্রধান নিজের ইচ্ছে মতো বাড়ি পাইয়ে দিচ্ছে। অন্য পঞ্চায়েতের এক বাসিন্দাকে বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি সেই গ্রামেও আগেই বাড়ি পেয়েছে। ফলে একই ব্যক্তিকে দুবার বাড়ি দেওয়া হল। অন্যদিকে প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে অবস্থাপন্নদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে”।

প্রধান সনাতন মাল বলেন, “টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপি চক্রান্ত করে এসব করছে”। তবে একই ব্যক্তিকে দুবার ঘর দেওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন প্রধান। তিনি বলেন, “একটার টাকাতে বাড়ি হচ্ছিল না। তাই তার স্ত্রীর নামেও বাড়ি দেওয়া হয়েছে”।

বিডিও জগদীশ চন্দ্র বাড়ুই বলেন, “অভিযোগ পেয়েছে। এবার তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *