আমাদের ভারত, হুগলী, ৭ নভেম্বর: তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজে দুর্নীতি ও হেনস্থার অভিযোগ আনলেন এক পঞ্চায়েত সদস্যা। ঘটনাটি পান্ডুয়ার জামগ্রাম মন্ডলাই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সোমড়াগড়ি গ্রামে।
সোমড়াগড়ি গ্রামে পঞ্চায়েত প্রধান অমিত ঘোষ এর বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টার পড়ে। পোস্টারে একশো দিনের কাজে দুর্নীতি ও পঞ্চায়েত সদস্যা বৈশাখী মূর্মুকে হেনস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান অমিত ঘোষ এর বিরুদ্ধে। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা আজ সকালে উঠে এই পোস্টার দেখতে পান। আর তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
পঞ্চায়েত সদস্যা বৈশাখী মুর্মুর অভিযোগ, প্রধান না জানিয়ে কাজ করছে। সেই কারণে শাসক দলের কেউ পোস্টার দিতে পারে। প্রধান আমার সাথে কোনও রকম আলোচনা না করেই আমার সংসদে কাজ দিয়ে দিচ্ছেন। জিজ্ঞেস করতে গেলে প্রধান ধমক দিচ্ছে। কি কারনে করছে তা আমি বুঝতে পারছি না। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেদের নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। আমাকে না জানিয়ে নিজেরা কাটমানি খাচ্ছে এবং আমাদের কাছে অনেকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে।
পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযোগ, একশো দিনের কাজ না করেও ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকে যাচ্ছে। পঞ্চায়েতের কাছে অভিযোগ জানালে তাকে কোনো গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা সফিকুল বাদশার অভিযোগ, একশো দিনের কাজ না করেও তাঁর একাউন্টে ১৮০০ টাকা ঢুকেছে। সেখানে বারো দিনের কাজের হিসেব দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমি কোনো কাজ করিনি, তাই কাজ না করে টাকা নেব না। ফেরৎ দিতে চাই। তা জানিয়ে তিনি পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েছেন।
এব্যাপারে পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত ঘোষ বলেন, কোথাও কোনও পোস্টার পড়েছে কিনা সে বিষয়ে আমার জানা নেই। পঞ্চায়েত সদস্যকে হেনস্তা করার বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ কোনো অভিযোগ জানায়নি। পঞ্চায়েত সদস্যা যদি লিখিত কোনও অভিযোগ জানায় তা আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো। তবে এক শ্রমিকের ব্যাংক একাউন্টে কাজ না করে একশো দিনের কাজের টাকা ঢোকায় সে বিষয়টি অভিযোগ জানিয়েছে এবং সেটি আমি দেখব।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সরব বিজেপি, তাদের মতে ২০২১ এ তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার কে ছুঁড়ে ফেলে দেবে মানুষ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা অশোক দত্ত।