আমাদের ভারত, ২৪ অক্টোবর: “আসানসোলে Trading সংস্থার নামে মাসিক ১৪% সুদ ও ৫% ডিভিডেন্ড দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কয়েক হাজার মানুষের কাছ থেকে ৪৫০ কোটি টাকা লুঠ করেছে। ওই সংস্থার পরিচালকরা পলাতক। শুক্রবার অল বেঙ্গল চিট ফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি রূপম চৌধুরী এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়ে লিখেছেন, “সংস্থার প্রধান কর্তা সংস্থা বন্ধ করে দিয়েছেন, এবং পলাতক। তিনি নাকি শাসক দলের এক নেতার পুত্র।”
তিনি বলেন, “প্রথম দিকে কিছু কিছু মানুষকে শর্ত অনুযায়ী টাকা দিয়ে বৃহত্তর অংশের মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে ওই সংস্থা। এখন আসানসোল শহরের কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁরা গতকাল ওই সংস্থার মালিকের বাড়ি ঘেরাও করেন। পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অসংখ্য মানুষ লিখিত অভিযোগ করেছেন।
রূপম চৌধুরীর অভিযোগ, “আমাদের সংগঠন ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে গত ১১ বছর ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে এক সদস্যের কমিটি ও হাইকোর্টে চিটফান্ড বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। আমরা বহুবার সরকার ও প্রশাসনকে জানিয়েছি যে চিটফান্ড সংস্থাগুলো নতুন নামে, নতুন কায়দায় জনগণকে প্রতারিত করে চলেছে।
রাজ্য ও দেশের সরকারের কোনও হেলদোল নেই। আমাদের সংগঠন বহু প্রমাণ দেওয়া সত্বেও, সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমাদের দাবি অবিলম্বে এই ঘটনার জন্য দোষী ব্যক্তিদের আটক ও ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরৎ ও সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক-সচেতন করার জন্য তৎপরতার সাথে উদ্যোগ নিক। আমাদের সংগঠনও এ ব্যাপারে উপযুক্ত উদ্যোগ নেবে”।

