মালদায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকেই মারধরের অভিযোগ গ্রামীণ পুলিশ ও সিভিক ভলাটিয়ারের বিরুদ্ধে

আমাদের ভারত, মালদা, ১৭ আগস্ট: সামান্য বিবাদের কারনে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরের অভিযোগ গ্রামীণ পুলিশ ও সিভিক ভলাটিয়ারের বিরুদ্ধে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতপুর এলাকার ঘটনা। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। পুলিশকে শাসকদলের প্রশ্রয়ে এই বাড়বাড়ন্ত বলে অভিযোগ বিজেপির।

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাফাজ্জুল হককে মারধরের অভিযোগ এক গ্রামীণ পুলিশ ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ি করে হরিশ্চন্দ্রপুরের কোনুয়া যাচ্ছিলেন দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। সেই সময় রাস্তায় দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তার গাড়িকে সাইড দেয়নি একটি লরি। এর প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে লরি মালিক গ্রামীণ পুলিশ এবং দলবল নিয়ে ওই প্রধানের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে ঘিরে ধরে কিল, চড় মারা হয়। ঘটনা লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার গ্রামীণ পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জানানো হবে বলে তিনি জানান।

শাসকদলের প্রশ্রয়েই সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রামীণ পুলিশদের এই বাড়বাড়ন্ত, অভিযোগ বিজেপির। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গাঙ্গুলি বলেন, পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে শাসকদল। যার ফলে এই বাড়বাড়ন্ত। এতদিন বিরোধীরা আক্রান্ত হচ্ছিলেন, এবারে আক্রান্ত হচ্ছেন শাসক দলের নেতারাই।
ঘটনায় তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। যদিও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আক্রান্ত প্রধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *