সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১০ ফেব্রুয়ারি: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের মদতে বেআইনি ভাবে চলছে প্রকাশ্যে পুকুর ভরাট। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার শিমুলপুর পঞ্চায়েতের বনিকপাড়া এলাকার ঘটনা। বাসিন্দাদের দাবি, এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর পরেও প্রধান কোনও পদক্ষেপ করেননি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের মদতে পুকুর ভরাটের কাজ চলছে।
গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বণিকপাড়া মৌজায় চার ব্যক্তির পুকুরের অর্ধেক অংশে বাঁশের বেরি দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর ও ডাম্পার দিয়ে ২০০ মিটার একটি পুকুর ভরাট করছে বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, ব্যক্তিগত মালিকাধীনে থাকা ওই পুকুরে তাঁরা গৃহস্থালির নানা কাজ সারেন। এছাড়া বৃষ্টি হলে এলাকার জল ওই পুকুরে গিয়ে জমা হয়। পুকুরটি ভরাট হলে কয়েক হাজার মানুষ সমস্যায় পড়বে।
পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সুব্রত বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের মদতে এই পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। দু’বছর আগেও একবার কিছু সমাজবিরোধীরা পুকুরটি ভরাট করতে গিয়েছিল, গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় তা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ফের নতুন করে পুকুর ভরাট করছে। আমরা বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করব। তাতে কাজ না হলে আন্দোলনে নামবো।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রমণ দে পুকুর ভরাটের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার পাশের গ্রামে একটি পুকুর ভরাট হচ্ছে ওই গ্রামের সদস্য আমি না। যাদের পুকুর তাদের কাছে জানতে চান। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই এলাকার কার্যকর্তা রমণবাবুই। পুকুরের মালিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা জানান ওই পুকুর তাদের না।
অন্যদিকে, তৃণমূল পরিচালিত শিমুলপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা দাস সব জেনেও না জানার কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। তারপর থেকে আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
গাইঘাটার বিডিও সঞ্জয় সেনাপতি বলেন, এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”