আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৬ জানুয়ারি: ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা মাতৃমায়। অন্যদিকে মৃতার পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক ও নার্সরা দুর্ব্যবহার করছেন রোগীর পরিজনদের সঙ্গে। প্রতিবাদ করলে উলটে আরও দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। মৃতার পরিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ জানাচ্ছেন।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা কিছুই না জানিয়ে চলে যান। গত মঙ্গলবার ধুপগুড়ির ঝাড়শালবাড়ির বাসিন্দা পেশায় গয়েরকাটা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিকে ধুপগুড়ি হাসপাতালে গর্ভবতী অবস্থায় ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির মাতৃমাতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সদ্যোজাতের জন্ম হওয়ার আগেই ওই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।

গর্ভবতী মহিলার স্বামী আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যু হয় আমার সন্তানের। কোনো পরিষেবা ঠিক নেই। সব কিছুতেই টাকা দিতে হচ্ছে। থানায় ও স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানাচ্ছি।”
এদিকে আরও এক আত্মীয় আজিনা বেগম বলেন,
“বার বার রোগীর সমস্যা বলার পরেও দুর্ব্যবহার করে নার্সরা। চিকিৎসার ভুলের কারণে মারা গেল সদ্যোজাত। নার্স ও ডাক্তাররা কুকুরের মত আমাদের সঙ্গে ব্যবহার করছে।”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এমএসভিপি কল্যাণ খান বলেন, “এদিন দুপুরে সদ্যোজাতের জন্ম হয়। শিশু কান্নাকাটিও করে। এর কিছুক্ষণ পরে মারা যায়। এরপর পরিবারকে জানানো হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।”

