গয়েশপুরে বিজেপি কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১ নভেম্বর:
ফের এক বিজেপি কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। নিহত বিজেপি কর্মীর নাম বিজয় শীল। কল্যাণী গয়েশপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

আজ সকালে গয়েশপুরের শ্মশান এলাকার পাশে একটি আম বাগানে বিজয় শীলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। দেহটি হাঁটু মোড়া অবস্থায় ছিল। এরপর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবারের দাবি, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজয় শীলকে। তবে এখনো পর্যন্ত কারো নামে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি। ঘটনাস্থলে কল্যাণী থানার পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে।

বিজেপির শহর মন্ডলের সহ-সভাপতি বাপ্পা শীল জানান, লোকসভা ভোটের আগে বিজয় শীল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিল। শাসক দল সেটা মেনে নিতে পারেনি। কারণ বিজয় শীল যোগদানের পর কল্যাণী গয়েশপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সম্পূর্ণ বিজেপির দখলে চলে যায়। তাই শাসকদল সন্ত্রাসের বার্তা দেওয়ার জন্যই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। পাড়ার প্রত্যেকেই বিজেপি করছিল তাই শাসকদল চাপে ছিল। সেই কারণেই বিজয় শীলকে শাসকদল খুন করল।

বিজয় শীলের স্ত্রী কমলি শীল জানান, আমার স্বামী গলায় দড়ি দিতে পারে না। আমাকে ও আমার সন্তানকে খুব ভালোবাসতো। দু’বছর ধরে গ্যাসের গাড়ি চালাচ্ছে। কোনদিনও কাজ ছাড়া কোনো গন্ডগোল ছিল না।

বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু রায় বলেন,
পরিকল্পনা করেই আমাদের কর্মীকে খুন করা হয়েছে।এখানকার যিনি আধিকারিক আছেন তার কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি যে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিও ক্যামেরা করে যাতে পোস্টমর্টম করা হয়। উনি আমাদের আবেদন করতে বললেন। কিছু নিয়ম আছে সেটা মেনেই সবকিছু করা হবে।বযাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে তারাই সন্ত্রাস করছে বাংলায়। রক্ত ক্ষয় করছে তারা। শাসক দল ছাড়া অন্য কেউ নেই এখানে।

গয়েশপুর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি কৌশিক ঘোষ বলেন, ছেলেটা আমাদের দল করত আমার সঙ্গে থাকতো এবং আমার পার্টি অফিসে আসত। বিজেপি ওখানে গিয়ে রাজনৈতিক রঙ চড়াতে চাইছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা চারশো ভোটে লিড হয়ে রয়েছি। এই ছেলেটা দলের হয়ে প্রচুর কেটেছে লোকসভা ভোটে এবং শেষ মাসেও সে আমাদের সঙ্গে মিটিং মিছিলে গেছে। বিজেপি দেখাতে পারবে না যে ওই ছেলেটা কোন মিটিং মিছিলে গেছে। কিন্তু আমরা দেখাতে পারব যে সে আমাদের কর্মী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *