রাজেন রায়, কলকাতা, ১৮ সেপ্টেম্বর: বহুদিন ধরে চিড়িয়াখানা পশু পাখিদের দেখতে না পেয়ে মন খারাপ হচ্ছিল ছোটদের। এবার পুজোর আগেই আগামী ২ অক্টোবর থেকেই রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন খোদ বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ থেকে চিড়িয়াখানা, ন্যাশনাল পার্ক, ইকো টুরিজিয়াম সেন্টারগুলি বন্ধ ছিল। এবার করোনা প্রোটোকল মেনে সাধারণের জন্য ফের তা খুলতে চলেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত ন্যাশনাল পার্ক, টুরিজম সেন্টারগুলি খুলে জঙ্গল সাফারি চালু করা হচ্ছে। হাতি সওয়ারি ছাড়া সব রাইড চালু থাকবে।
তবে করোনার কারণে এখানে কিছু স্বাস্থ্যবিধি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। নিয়মগুলি হল, এবার থেকে যে কোনও জায়গায় প্রবেশের টিকিট বুকিং করতে হবে অনলাইনে।
১০ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের উপরে কাউকে নিয়ে ভ্রমণ করলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।পর্যটকদের অবশ্যই মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। বোটিং কিংবা পার্কে কোনও প্রমোদমূলক সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার আবশ্যক।আপাতত হাতি সাফারি বন্ধ থাকবে। আর কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিলে যে কোনও সময় পার্ক কিংবা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তা আংশিকভাবে বন্ধ করতে পারেন।
আরও জানানো হয়েছে, জিপ সাফারির ক্ষেত্রে একটি করে আসন ছেড়ে ছেড়ে বসতে হবে। কোনও ওয়াচ টাওয়ারে ২০ জনের বেশি পর্যটককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখালে তবেই জঙ্গলে ট্রেকের অনুমতি মিলবে।
তবে আগের মত প্রচুর পর্যটক যাতে একসঙ্গে না ভিড় করেন, তার জন্য পর্যটকের সংখ্যাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার ক্ষেত্রে দৈনিক ৫ হাজার, বেঙ্গল সাফারির ক্ষেত্রে ৩ হাজার, দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ক্ষেত্রে ২ হাজার আর বাদবাকি সব ছোটখাটো চিড়িয়াখানায় সেখানে ১ হাজার দর্শক ঢুকতে দেওয়া হবে।