আমাদের ভারত, ১৯ জুন: লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সর্বদলীয় বৈঠকে সার্বিকভাবে সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে সব দল। মোদীও সব দলের এই সদর্থক ভূমিকার প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। মোদী বলেন ভারতের দিকে নজর দিলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। দেশকে আঘাত করলে কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা। তিনি আশ্বস্ত করেন দেশের নিরাপত্তায় সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী সেনাবাহিনী। ভারতের ভূখণ্ডে কেউ ঢুকতে পারেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সর্বদলীয় বৈঠকে মোদী বলেন,ভারতের দিকে নজর দিলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। ভারতের সীমান্তে কেউ ঢোকেনি। আমাদের কোন পোস্ট বেদখল হয়নি। লাদাখে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কুড়ি জন সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন। শহীদদের পরিবারের পাশে গোটা দেশ রয়েছে।” দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনো আপস নয় বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মোদী। তিনি জানিয়েছেন দেশের সীমান্তে নজরদারি আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কেউ এক ইঞ্চি জমিও কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো সমঝোতা নয় বলে জানিয়েছেন মোদী। মোদী আশ্বস্ত করেন,দেশের সুরক্ষা অতন্দ্র প্রহরী সেনাবাহিনী।
আজ কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসের, শিবসেনার মত কুড়িটি বিরোধী দলের প্রধান নেতা নেত্রীদের নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন কংগ্রেসের তরফে সোনিয়া গান্ধী এবং তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে, সীতারাম ইয়েচুরি, স্ট্যালিন, নিতিশ কুমার, জগনমোহন রেড্ডি, চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতারা। সকলেই লাদাখ প্রশ্নে সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক গোটা দেশের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেবে। তিনি আরো বলেন,দেশ সেনা জওয়ানদের সঙ্গে একজোট হয়ে আছে। সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
সর্বদলীয় বৈঠকে সরকারের তরফে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে সব দলের নেতা-নেত্রীদের অবহিত করেন। সোনিয়া গান্ধী ওই বৈঠককে জানতে চেয়েছিলেন চিনা সেনা কবে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে আছে? প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বর্তমানে কি অবস্থা রয়েছে তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে সংকটের এই মুহূর্তে সরকারের পাশে আছে তার দল বলেও জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।