আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ২ সেপ্টেম্বর: রাজ্যের মধ্যে কোভিড পরিস্থিতির শুরুতেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন স্বয়ং ‘হু’-র ভারতের অন্যতম এক প্রতিনিধি। এবার জেলার সার্বিক কোভিড পরিস্থিতির জন্য স্বয়ং রাজ্যের স্বাস্থ্য অধীকর্তা অজয় চক্রবর্তী আলিপুরদুয়ারে এসে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রশংসা করে গেলেন।
একদিকে কলকাতা থেকে রাজ্যের সবচেয়ে দূরের জেলা আলিপুরদুয়ার। তার উপর জেলার বয়স মাত্র ৬ বছর। আসামের সীমানা ঘেরা চা-বাগান আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় বরাবর স্বাস্থ্য দপ্তর চ্যালেঞ্জের সামনে রয়েছে। তারপরও জেলায় মৃত্যু হার অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেকটাই কম। টেস্টের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুন। বুধবার ডুয়ার্স কন্যাতে সবকিছু খতিয়ে দেখেন কলকাতা থেকে আসা ৩ সদস্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল। এরপর অজয় চক্রবর্তী বলেন, আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর একটা টিম হিসেবে কাজ করেছে। আর তাতেই সাফল্য উঠে এসেছে। সোয়াব টেস্টের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। যার ফলে মৃত্যু হার এক্কেবারেই কম।”
এদিনের বৈঠকে অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গেই ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধীকর্তা (শিক্ষা) দেবাশিষ ভট্টাচার্য, ন্যাশনাল হেলথ মিশনের ডিরেক্টর সৌমিত্র মোহন, জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা, জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি, জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ন গোস্বামী।

অজয় চক্রবর্তী আরও বলেন, “আলিপুরদুয়ার গোড়া থেকেই পরিকল্পনা ও তথ্য বিশ্লেষণ করে এগোচ্ছে।কাজ চলছে টিম হিসেবে।রাজ্যে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। মৃত্যু হার এক শতাংশ।” পাশাপাশি অজয় চক্রবর্তী এও বলেন, মানুষ এখনো করোনা টেস্ট করতে ভয় পাচ্ছে। কেউ রোগ চেপে যাচ্ছে। হাসপাতালে যাবার অযথা ভয় পাচ্ছে।এছারাও কিছু সামাজিক সমস্যা সামনে এসেছে। যেখানে কিছু অসচেতন মানুষ এখনো অপপ্রচারে আছে।অনেকেই শ্বাসকষ্ট হলেও দেরি করে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, কোভিড রোগীদের অচ্ছুৎ করে দেখা, মৃত্যু বিষয়গুলি নিয়ে টানা ৮ মাস প্রচার চলছে। অভিযোগ, এরপরেও সভ্য সমাজে অবাঞ্ছিত ঘটনা সামনে এসেছে। মানুষকে আর সচেতন হতে আহ্বান জানান স্বাস্থ্য কর্তা। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জেলায় চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।

