সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৬ অক্টোবর: বাড়ির সামনে মদ ও জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় আইনজীবীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আইনজীবীর গলা থেকে একটি সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থানার বিধানপার্ক এলাকায়। আহত আইনজীবীর নাম সুশান্ত কুণ্ডু। তিনি বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগ, বাড়ির সামনে মদ্যপান ও জুয়ার ঠেক চালাচ্ছিল প্রতিবেশী যুবক মাণিক দত্ত ওরফে মস্তান। প্রতিবাদ করেছিলেন আইনজীবী সুশান্ত কুণ্ডু। তারই মাশুল গুনতে হল। বেধড়ক মারধর করা হয় সুশান্তবাবুকে। সুশান্তবাবু বলেন, ঘটনার দিন বাড়ির সামনে বসে মদ্যপান করছিল ও জুয়ার ঠেক চালাচ্ছিল অভিযুক্তরা। সেখানে কয়েকজন বাইরের থেকে আসা ব্যক্তি গালিগালাজ ও অভব্য আচরণ করছিল বলে দাবি। সেই সময় তার প্রতিবাদ করেন আইনজীবী সুশান্তবাবু। তখনই অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁর গলায় থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁকে খুন করার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনার পর এলাকার লোকজন ছুটে এসে ওই আইনজীবীকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু, অভিযোগ দায়েরের ৪৮ ঘণ্টা পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি, যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। এ নিয়ে আক্রান্ত ওই আইনজীবীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও পুলিশের দাবি, “অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের ধরতে সব রকমের চেষ্টা চলছে।”
আক্রান্ত আইনজীবী সুশান্ত কুণ্ডুর দাবি, “ওই এলাকায় জুয়ার ঠেকের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালায় ঠিকই, কিন্তু, তারপর যে কে সেই আমি বারাসত জেলা আদালতের একজন আইনজীবী। জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ করেছি। এটাই আমার অন্যায়। তার জেরে আমার ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হলো। ওদের উদ্দেশ্যেই ছিল খুন করার। আমি চাই পুলিশ প্রশাসন জুয়ার ঠেক বন্ধ করতে তৎপর হোক। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কড়া শাস্তি দিক প্রশাসন। নইলে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে।”
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বারাসত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) অতীশ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে যা পদক্ষেপ করার তা করা হচ্ছে। অপরাধ করলে ছাড় পাবে না কেউই, এটুকু বলতে পারি।”

