আমাদের ভারত, কলকাতা, ৪ সেপ্টেম্বর: বৃহস্পতিবার কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের (এআইএমএসএ) মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সাথে পুলিশের বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। মিছিল ধর্মতলায় পৌঁছানোর আগেই কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের সামনে বাধা দিয়ে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়।
সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়, আর জি কর হাসপাতালের স্নাতকোত্তর শিক্ষানবীশ অভয়া’র নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনা এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও ন্যায় বিচার এখনো পাওয়া গেল না। ইতিমধ্যে ঘটে গেল কসবা আইন কলেজের ছাত্র সংগঠনের ঘরে কলেজেরই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। অভিযুক্ত ওই কলেজেরই ছাত্র নেতা এবং অস্থায়ী কর্মচারী।
এছাড়া প্রতিদিন ঘটছে একের পর এক নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। নারীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, নারী ও শিশু পাচার বন্ধ করা, মদ ও মাদকদ্রব্য এবং পর্নোগ্রাফি বন্ধ করা, বিভিন্ন স্কিমে কর্মরত মহিলা এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের জীবনধারণের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া, এইসব দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার একটি বিক্ষোভ মিছিল ও মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বিদ্যাসাগরের মূর্তির পাদদেশ (কলেজ স্কোয়ার) থেকে কয়েক হাজার প্রতিবাদী মহিলাকে নিয়ে এই মিছিল বেলা ২.৩০ টায় ধর্মতলার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। মিছিলে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড কেয়া দে অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ নীতি আদতে মুখে বললেও রাজ্যসহ গোটা দেশে আজ মেয়েরা সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কমরেড সুজাতা ব্যানার্জি বলেন আজকের দিনে মেয়েদের ঘরে বসে থাকলে হবে না, এই আক্রমণের বিরুদ্ধে একসাথে হয়ে পথে নামতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের সংগঠনের প্রতিনিধিরা সরকারের কাছে শ্রমিক হিসেবে তাদের স্বীকৃতির দাবি করেন।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা কল্পনা দত্ত বলেন, ধর্মতলায় শাসকদলের অবস্থানের জন্য হাজার হাজার প্রতিবাদী মহিলার শান্তিপূর্ণ নিরস্ত্র মিছিলের গতি যেভাবে রুদ্ধ করা হলো তা চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ। এরপর প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা দাবিপত্র নিয়ে রওনা দেন।