জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৬ ফেব্রুয়ারি: কালা কৃষি আইন এবং বিদ্যুৎ বিল ২০২০ বাতিলের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধে শামিল হল অল ইন্ডিয়া কিষাণ ক্ষেতমজুর সংগঠন। সারা দেশের পাশাপাশি এরাজ্যের সর্বত্র এআইকেকেএমএসের ডাকে অবরোধ কর্মসূচি হয়। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাখরাবাদে ৬০ নং জাতীয় সড়কের ওপর শত শত কৃষক অবরোধে সামিল হন। কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করা হয় ও সভার আয়োজন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে অবরোধ শুরু হয়ে চলে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত। এক ঘন্টা অবরোধের জেরে মকরামপুর ও বেলদা পেরিয়ে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে হাজার হাজার গাড়ি চাক্কা জ্যামে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। বাস, মারুতি সহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে নেমে যাত্রীরাও এই চাক্কা জ্যামে সামিল হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষকদের উপর নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানান বলে জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। দূরপাল্লার ট্রাকের চালকরাও অত্যন্ত আবেগের সঙ্গে এই বিক্ষোভে সামিল হন বলে দাবি নেতৃত্বদের। এদিনের অবরোধে নেতৃত্ব দেন এআইকেকেএমএসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক প্রভঞ্জন জানা, সভাপতি সূর্য প্রধান। সভায় বক্তব্য রাখেন এসইউসিআই কমিউনিস্ট দলের জেলা সম্পাদক নারায়ণ অধিকারী, দলের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তুষার জানা সহ জেলা ও বিভিন্ন ব্লকের কৃষক নেতারা।
নারায়ণ অধিকারী জানান, “বিশ্বের ইতিহাস সৃষ্টিকারী কৃষকদের এ লড়াই বশ্যতা বিরোধী লড়াই। আম্বানি সহ কর্পোরেটদের কাছে কৃষকদের বন্দি করার বিজেপির সর্বনাশা আইন রুখতে এ লড়াই। দেড়শোরও বেশি কৃষক ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। দেশব্যাপী লক্ষ লক্ষ কৃষক সম্মিলিত হচ্ছেন। ভীত সন্ত্রস্ত সরকার রাস্তা কাটছে, রাস্তায় গজাল পুঁতছে, কংক্রিটের দেওয়াল দিচ্ছে, কাঁটা তারের বেড়া দিচ্ছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। কার্যত গরিব অন্নদাতা ভারতবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই কালা কৃষি আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদ চলবে।”
আজকের অবরোধে সতঃস্ফুর্ত ভাবে সামিল সকল সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানান এআইকেকেএমের জেলা সম্পাদক প্রভঞ্জন জানা। লাগাতার এ আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।