আমাদের ভারত, ২০ সেপ্টেম্বর: কোনো ভাবেই ধোপে টিকল না বিরোধীদের বিরোধিতা। প্লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত দুটি বিল। কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়নে এবং দাম নির্ধারণের কৃষি সুরক্ষা ক্ষমতায়ন চুক্তি সংক্রান্ত বিল দুটি প্রবল বিক্ষোভের আবহাওয়াতেই পাস করাতে হয়েছে সরকারকে।
লোকসভার মতই রাজ্যসভাতেও বিরোধীরা একসুরে প্রতিবাদ জানিয়ে গেছে। এই বিলগুলোতে ক্ষুদ্র চাষীর স্বার্থ একতরফা ভাবে উপেক্ষিত হয়েছে, কর্পোরেট সংস্থাগুলির হাতে ফসলের দাম নির্ধারণ ও মজুদদারির অধিকার চলে যাচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কৃষি বিল পাশ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন দশকের পর দশক ধরে দালালের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন এবার দেশের কৃষকরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি চোখের জল আনা মুহূর্ত। দেশের কৃষকদের জন্য এটি ঐতিহাসিক দিন। পরিশ্রমি কৃষকদের শুভেচ্ছা। এই বিল দেশের কৃষি ক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তন আনবে। কোটি কোটি কৃষককে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে।”
রাজ্যসভায় কৃষক কল্যাণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বিলটি পেশ করেন। তিনি বলেন, এই বিলটি আসায়, এবার থেকে কৃষকদের আর ন্যায্য দাম পাওয়ার পথে কোনো বাধা রইল না।” কিন্তু বিলটি উত্থাপনের পর প্রায় রণক্ষেত্র আকার নেয় রাজ্যসভা। করোনার সামাজিক বিধি ভেঙ্গে বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নেমে আসেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
এর আগে লোকসভায় কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়নও কৃষক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে চুক্তিরএই বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। এই বিলের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর। বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। দেশের একাধিক প্রান্তে কৃষকদের প্রতিবাদ দেখা গেছে। পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকরা সহ ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন। কংগ্রেস এই বিলকে কৃষকের মৃত্যু পরোয়ানা বলেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়া যাবেনা এই প্রচার ভুল এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিজেপি তরফেও এই বিলের ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে। ৭৯ বছরের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেলেন দেশের কৃষকরা বলে জানিয়েছে দাবি করেছেন জেপি নাড্ডা।