আমাদের ভারত, দিঘা, ২৫ নভেম্বর: দিঘায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্র সৈকত থেকে হকারদের উঠে যাওয়ার জন্য ঘোষণার প্রতিবাদে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে আজ বিক্ষোভ দেখালেন দিঘার হকাররা। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে কর্মহীন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কয়েক হাজার হকারের।
আগামী মাসের প্রথম দিকে দিঘায় আসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে দিঘার সৈকত ও সৈকত সরণীতে থাকা অস্থায়ী দোকান ও ঝুপড়ি সরাতে উদ্যোগী হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।আগামীকালের মধ্যে সৈকতে থাকা সমস্ত দোকান ও ঝুপড়ি সরিয়ে ফেলার আবেদন করা হয়েছে মাইকিংয়ের মাধ্যমে। এর ফলে সৈকতে বসা অস্থায়ী চা দোকান, খাওয়ার দোকান, ডাবের দোকান, ঝিনুকের দোকান সহ কোন দোকানের আর দেখা মিলবে না দিঘার বালুকাময় সৈকত বা শ্বেত পাথরে বাঁধানো সৈকত সরণীতে। এমনকি ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা যাবে না চা, কফি, ফুচকা, ঝালমুড়ি, খেলনাও। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়বেন প্রায় চার হাজার মানুষ।
দিঘার সৌন্দর্যায়নের জন্য সৈকত সরণী সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের সময় উচ্ছেদ হয়েছেন বহু দোকানদার। যাদের স্থায়ী দোকান ছিল তাদের অনেকেই পেয়েছেন দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ নির্মিত স্টল। কিন্তু যারা অস্থায়ী দোকানদার বা স্টল পাননি তারা নতুন করে ব্যবসা করতে শুরু করেন সৈকতে বসেই। পাশাপাশি নতুন রূপে সেজে ওঠা দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দিঘার সৈকতে নতুন নতুন বেশ কিছু স্টল গজিয়ে ওঠে রাতের অন্ধকারে। সেইসব দোকান ও স্টলই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে। ইতিমধ্যেই দিঘা সফরে এসে সৈকতে অবৈধ স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান যাতে নতুন করে বসতে না পারে সেদিকে কড়া নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষকর্তা মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই তাঁর দিঘা সফরের আগে দিঘার সৈকত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাতে উঠে পড়ে লেগেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। আর, এরফলে কর্মহীন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দিঘার প্রায় চার হাজার হকারের। তাই, প্রশাসনের এই নির্দেশের প্রতিবাদে হকারদের হয়ে পথে নেমেছে বিজেপি।
বিজেপির রামনগর পশ্চিম মন্ডলের নেতৃত্বে আজ হকাররা বিক্ষোভ দেখান দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে। দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিকের কাছে পুনর্বাসনের আবেদন জানান হকাররা।