আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২২ ডিসেম্বর: পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে তৃণমূল ছত্রধর মাহাতোকে জঙ্গলমহলের মুখ করেছে। তাকে আজ গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক পদে বসিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছত্রধর মাহাতোকে জঙ্গলমহলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে তার অতীত দিনের কার্যকলাপ নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়।
এরপর তৃণমূল কংগ্রেস তাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের দায়িত্ব দেয়। সেইমতো তিনি কৃষি বিলের বিরোধিতায় মিছিল ও সভা করেন। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে যোগ দেন। এবার বঙ্গধ্বনি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেই প্রচারে গ্রামে যেতেই তাকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। “অত্যাচারী মানুষ, খুনি ছত্রধর মাহাতো দূর হটো” লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান তুলে গ্রামবাসীরা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। গ্রামের মধ্যে আটকে রাখছেন তারা। গতকাল বিকেলে ঝাড়গ্রাম ব্লকের পাটাশিমুল গ্রামে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে ঘেরাও হন ছত্রধর। প্রায় এক ঘন্টা ধরে সেখানে আটকে থাকেন তিনি। গ্রামে মুহুর্মুহু স্লোগানে ওঠে “খুনি ছত্রধর দূর হটো”। বিক্ষোভের ফলে গাড়ি থেকে নামতে পারেননি তিনি। নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে গাড়িতে বসে থাকেন। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের ফলে তার সঙ্গে থাকা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মামুনি মুর্মু, ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেখা সরেন, ব্লক সভাপতি নরেন মাহাতোও বিক্ষোভের মুখে আটকে পড়েন। ছত্রধরের বিরুদ্ধে জনসাধারণের কমিটির মিছিলের সময় গ্রামে মাওবাদীদের ঢোকানোর অভিযোগ তোলেন পাটাশিমুল গ্রামের বাসিন্দারা। যে মাওবাদীরা ওই এলাকায় ১৩ জনকে খুন করেছে বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীরা জানান, ছত্রধর মাহাতোকে তারা গ্রামে ঢুকতে দেবেন না। তৃণমূলের অন্য কেউ এলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। ওই গ্রামে ছত্রধরের আটকে পড়ার খবর পেয়ে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও, থানার আইসি এবং মানিকপাড়া বিট হাউসের ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে ছত্রধরকে গ্রামে নিয়ে যায় এবং গ্রামের একটি মাঠে বঙ্গধ্বনি যাত্রা করেন।