আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৪ ডিসেম্বর: আজ রবিবার রাজ্যেজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষকের টেট পরীক্ষা হল। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পর টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের পাঁচটি পৃষ্টা ভাইরাল হয় বলে অভিযোগ। একাধিক মোবাইলে প্রশ্নপত্র ঘোরাঘুরি করতে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার পর জলপাইগুড়ির ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র দেখে হতবাক পরীক্ষার্থীরা।

তাঁদের দাবি, যে প্রশ্নপত্রে তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসলেন, সেই প্রশ্নই ভাইরাল হয়ে বাইরের সকলের হাতে হাতে ঘুরছে। হতবাক সকল পরীক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই পরীক্ষা বাতিল করা হোক। পড়ুয়াদের দাবি, ২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার পরেও সেই পরীক্ষা বাতিল হয়নি। আবারও একাংশের সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়ে গেল। এভাবে যদি প্রতিবার টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়ে যায় তাহলে নিরাপত্তা ও পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কী হবে আগামীতে সেই প্রশ্ন তুলছেন সকলে।
জানা গিয়েছে, এদিন টেট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নপত্রের পাঁচটি সেট করা হয়েছিল। সব প্রশ্ন এক হলেও বিভিন্ন সেটে কোনো প্রশ্ন ছিল পাঁচ নম্বরে আবার সেই প্রশ্ন অন্য সেটে ছিল ১৫ পনেরো নম্বরে। পরীক্ষার্থীরা জানায়, ‘এ ওয়ান’ প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছে।

জলপাইগুড়ির গড়ালবাড়ির টেট পরীক্ষার্থী মোস্তাক আলম বলেন, “২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছিল। আজও ভাইরাল হয়ে গেল প্রশ্ন। এই ধরণের ঘটনা বার বার হচ্ছে।” আরও এক পরীক্ষার্থী মেহবুল আলম বলেন, এত নিরাপত্তা এত কড়াকড়ি। সঙ্গে বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করে আমাদের কেন্দ্রে ঢোকানো হয়েছে। প্রশ্নপত্র খুবই কঠিন হয়েছিল। তারপরেও যদি প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়ে গেল এরপর আর পরীক্ষা দেব না। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা হচ্ছে।”
জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামল চন্দ্র রায় বলেন, “আমাদের কাছে টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে নিশ্চই দেখা হবে।”

