আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করলো ভারত

আমাদের ভারত, ২৮ নভেম্বর:ইসলামাবাদের ছক ভেস্তে দিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের পাশে দাঁড়ালো বাকি দেশ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের দাবি ও যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ জানায় পাকিস্তান। ভারতের দাবির তীব্র বিরোধিতা করে ইসলামাবাদ। নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবিত পুনর্গঠন ও সংস্কার নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনা চলছে। প্রস্তাব অনুযায়ী বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে যোগ্যতা ও শক্তির বিচারে নতুন চারটি দেশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পেতে পারে। সেই চারটি দেশ হল ভারত, জার্মানি, জাপান ও ব্রাজিল। এই চারটি দেশকে বলা হচ্ছে গ্রুপ ফোর। এই চারটি দেশের অন্তর্ভুক্তির নাহলে নিরাপত্তা পরিষদ তার প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে। কিন্তু ভারতসহ বাকি চারটি দেশের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদের বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি বাকি দেশ গুলো।

পাক প্রতিনিধি রাষ্ট্র সংঘে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে এই চার দেশের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই। এই চারটি দেশ সক্রিয়তা দেখাচ্ছে তার নিজের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য।’ কাশ্মীর ইস্যুকে তুলে ধরে তার বক্তব্য, ‘ভারত তার বাজার অর্থনীতি ও বিপুল জনসংখ্যাকে হাতিয়ার করে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। ভারত আন্তর্জাতিক আইন মানে না ফলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী সদস্যপদ পেলে তা খারাপ কাজে ব্যবহার করবে ভারত।’

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের এই অভিযোগ নিয়ে কোন কথা বলেনি চিন। ব্রাজিল, জার্মানি, জাপান বলেছে পাকিস্তান বা চীন কি বলল তাতে কিছুই আসে যায় না। নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার হবেই সময়মতো।

অন্যদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সামনে পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ ধামাচাপা দিতে নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করেছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের বসবাসকারী বেশ কিছু ভারতীয় দূতাবাসে কর্মীকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতকে হেয় করতে চেয়েছিল পাকিস্তান।

পাকিস্তানের এই অভিযোগকে চিন সমর্থন করলেও আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ বাকি দেশ সরাসরি ভারতকে সমর্থন করে। ফলে পাকিস্তানের ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়।

যেসব ভারতীয়দের ফাঁসিয়ে পাকিস্তান ছক কষা চেষ্টা করেছে তারা হলেন, রাঘব চারি পার্থসারথি, বি সুধাকর পেদিরেদলা, বেনুমাধব ডোংরা, অজয় মিস্ত্রি, আপ্পাজি আঙ্গারা, গোবিন্দ পট্টনায়েক দুর্গীভাষা।এরা প্রত্যেকেই কর্মসূত্রে ছিলেন আফগানিস্তানে। পাকিস্তান এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পরেই সুধাকার বাদে বাকি পাঁচজনকে তড়িঘড়ি দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কেবল সুধাকারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনুমান করা হচ্ছে ভারতীয় গুপ্তচর সন্দেহে তাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তান অভিযোগ করেছিল এই ছয়জন আফগানিস্তানে বসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ চালায়।তাই এদের গ্লোবাল টেরেরিস্ট বলে ঘোষণা করা হোক। নিরাপত্তা পরিষদের সামনে পাকিস্তানের চোখে অভিযুক্ত ঐ পাঁচ ব্যক্তিকে হাজির করে ভারত। তারা তাদের বক্তব্য রাখেন। পাকিস্তানের প্রস্তাবে চিষ সম্মতি জানালেও বাকি সব দেশ ভারতকে সমর্থন করে। ফলে জয় হয় ভারতের।

এরপর ভারত রাষ্ট্রসংঘে অভিযোগ জানায় নিজেদের মুখ বাঁচাতে ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তান। বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান জঙ্গি কাজকর্ম দমন করেনি।বেশিরভাগ জঙ্গি নেতার ক্ষেত্রেই পাকিস্তানি সেনার হাতে মৃত দেখানো হচ্ছে, যা সত্য নয়। এবার তাদের নতুন ছক ছিল জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে ভারতের নাম জড়িয়ে দেওয়া যাতে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *