আমাদের ভারত, হুগলী, ১৫ ফেব্রুয়ারি: পুলকার দুর্ঘটনার পর যান নিয়ন্ত্রণে তৎপর পুলিশ। গতকাল পোলবায় ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তাতে আহত হয়েছে একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্ররা। গতকাল এলাকা পরিদর্শন করে পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন যানবাহন চলাচলের উপর নজরদারি চালাবে পুলিশ। সেই মত শনিবার পোলবায় দিল্লি রোডের উপর কড়া নজরদারি শুরু করল হুগলী জেলা পুলিশ প্রশাসন। গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে দেখা হচ্ছে গাড়ির বৈধ কাগজপত্র।
এদিকে গতকালের দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির কাগজ পত্র থেকে ড্রাইভারের লাইসেন্সও ঠিকঠাক ছিল না বলে পুলিশ সুত্রে খবর। আহত ছাত্রদের বাড়ির লোকের অভিযোগ, বাড়ি থেকে ছাত্রদের গাড়িতে তোলার পর চালক বদল হয় মাঝপথে। এমনকি মহঃ শামিম নামের যে চালক ছাত্রদের বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল ঘটনার পর থেকে সেও বেপাত্তা। পবিত্র দাস নামের যে চালক দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালাচ্ছিল তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করছে পুলিশ।
২০১৯ সালে বারুই পাড়া এলাকার রতন কোলের এই গাড়িটি হাত বদল হলেও তার কাগজ পত্র এখনও তৈরী হয়নি। যদিও ঘটনার আগে এই খবর ছাত্রদের বাড়ির লোকজন থেকে পুলিশ সকলেরই ছিল অজানা। জেলা শহর গুলিতে ছোট বড় হাজারও স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে বিপজ্জনক ভাবে ছুটে চলা পুলকারগুলি আদৌও যে নিয়ম মেনে চলে না তা কারোরই অজানা নয়। তবু তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণে কেন এত অনীহা, আর কেনই বা দুর্ঘটনার পর নড়াচড়া শুরু হয় তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে দুর্ঘটনা গ্রস্থ গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে হাজির বিশেষজ্ঞরা। পোলবা থানায় আজ বিকেলে আসেন তারা। তদন্তের পর তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত করবে পুলিশ।