জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৯ অক্টোবর:
বুধবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে বালি পাচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সরব হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক আয়েশা রানি জানান, নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং বালি পাচারকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে।
প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোনওভাবেই নদীর বালি পাচার করতে দেওয়া যাবে না। নদী থেকে বালি তোলা হলে সেতুর ভিত নড়বড়ে হয়ে যায়। এই সময় জেলা পরিষদের ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামুনি মুর্মু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাতের অন্ধকারে অবৈধ বালি পাচারের অভিযোগ তোলেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা ক্ষুব্ধ’ হয়েই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে প্রশ্ন তোলেন আপনারা এগুলো দেখেন না কেন? অবৈধ বালি পাচারে কাদের এত আগ্রহ? অবিলম্বে বালি পাচার বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে গ্রেফতার করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই জেলা শাসক আয়েশা রানি মুখ্যমন্ত্রীকে অবৈধ বালি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার এবং প্রয়োজনে গ্রেফতার করার আশ্বাস দেন। জানা গেছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় বালি পাচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই প্রসঙ্গটি প্রশাসনিক বৈঠকে তোলেন। এরপরেই প্রসঙ্গটি খুঁচিয়ে তোলেন জেলা পরিষদের ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামনি মুর্মু।