ফরাক্কার কুলিদিয়ার ভাঙ্গনের পর এবার সামশেরগঞ্জের ধানঘড়ায় গঙ্গাগর্ভে একের পর এক বাড়ি জমি

আমাদের ভারত, জঙ্গিপুর, ২০ আগস্ট: ফের ভাঙ্গনের কবলে মুর্শিদাবাদ জেলা। ভাঙ্গন যেন পিছু ছাড়ছে না গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। ফরাক্কার গঙ্গা ভাঙ্গনের পর এবার সামশেরগঞ্জ ব্লক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সামশেরগঞ্জে ধানঘড়ায় ফের গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে গেল চাষের জমি, আম লিচুর বাগান, বসতভিটা। ভাঙ্গনের আতঙ্কে নিজেদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে সরিয়ে নিচ্ছে এলাকাবাসী।

বেশ কয়েক দিন ধরেই ভাঙ্গনের মুখে কুলিদিয়ার গ্রামের বাসিন্দারা। ফরাক্কার হোসেনপুরে ভাঙ্গন চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে। হোসেনপুর কুলিদিয়ার গ্রাম ভাঙ্গনের জেরে তলিয়ে যায়। বুধবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজেপির সাংসদ সহ চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সামশেরগঞ্জ ব্লকের ধানঘরা গ্রামে ভয়াবহ আকার ধারণ করে গঙ্গা ভাঙ্গন। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি আম, লিচুর বাগান, বসতভিটা তলিয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে। ভাঙ্গনের কবলে প্রায় ১০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। ১০টি বাড়ি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে, যার জেরে ঘর বাড়ি ভেঙ্গে নিচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি একটি প্রাচীন মন্দির গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার পর থেকে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ১০ টি ঘর ভেঙ্গে গেছে। গঙ্গার জল বৃদ্ধি পাওয়া ফলে এই সমস্যা। গঙ্গার জলস্তর না কমলে ভাঙ্গনের গ্রাসে চলে যাবে সমগ্র গ্রাম। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা ঘর ভেঙ্গে নিচ্ছেন এবং জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভাঙ্গনের জেরে বাড়ি সহ একটি প্রাচীন মন্দির তলিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।ভিটেহারা সাধারণ মানুষ এখন পুর্নবাসন জন্য সরকারের দাবি রেখেছেন। খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় পরিবারের সদস্যরা।

অন্যদিকে ভাঙ্গনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন সামশেরগঞ্জ বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যে সরকারের সাথে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *