আমাদের ভারত, ২০ আগস্ট:শিক্ষা নীতির পরিবর্তনের পর এবার সরকারি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রেও বড়সড় বদল আনল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি গঠনের প্রস্তাবে সায় দিল বুধবার। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার নন- গেজেটেড পদগুলিতে কর্মী নিয়োগের কাজ করবে এই সংস্থা। কম্পিউটারের মাধ্যমে দেশজুড়ে হবে কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর মোদী ট্যুইট করে লিখেছেন, “দেশের কোটি কোটি যুবক-যুবতীর কাছে ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি আশীর্বাদের মত হয়ে উঠবে। কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট হলে আর মাল্টিপল টেস্টের প্রয়োজন হবে না তাতে অনেক সময় বাঁচবে। নিয়োগের প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন,”কমন এলিজিবিলিটি টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঠিক হয়েছে কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট নেবে ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরির জন্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেবে ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি। এলিজিবিলিটি টেস্ট পাওয়া নম্বর তিন বছর পর্যন্ত ভ্যালিড থাকবে। এর মধ্যে প্রার্থীরা বিভিন্ন সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। গ্রাজুয়েট,হায়ার সেকেন্ডারি, ম্যাট্রিকুলেশন পাশ এই তিন ধরনের প্রার্থীর জন্য তিনটি স্তরে কমন এলিজিবিলিটি টেস্টহবে। নতুন নিয়মে নন-টেকনিক্যাল পোষ্টের জন্য স্টাফ সিলেকশন কমিশন রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংকিং পার্সোনাল সিলেকশন এর প্রথম স্তরের পরীক্ষা নেওয়ার আর প্রয়োজন হবে না। তবে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের পরীক্ষার নেবে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের রিক্রুটিং এজেন্সি। তার আগে কমন এলিজিবিলিটি টেস্টের মাধ্যমে প্রার্থীদের দ্বিতীয় তৃতীয় স্তরের পরীক্ষার জন্য শর্ট লিস্টেড করা হবে। যতদিন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসার বয়স থাকবে তার মধ্যে ন্যাশানাল এলিজিবিলিটি টেস্ট যতবার খুশি বসা যাবে। সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্য চাকরির বয়সসীমা ছাড় দেওয়া হবে।