আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্ল্যাক আউটের পর করোনা লকডাউনে দ্বিতীয়বার বন্ধ হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের কানাশোলের বিখ্যাত গাজন মেলা। বাবা ঝাড়েশ্বরের মন্দির এবং সেখানকার গাজন মেলার জন্য কৃষিপ্রধান বর্ধিঞ্চু এই গ্রামটির পরিচিতি মেদিনীপুর তথা সারা বাংলা জুড়ে। প্রাচীন রীতিতে নির্মিত এখানকার মন্দিরে হিন্দু ধর্মের প্রাচীনতম মহাদেব পূজিত হন ঝাড়েশ্বর রূপে। চৈত্র মাসে গাজন উপলক্ষ্যে প্রায় একমাস ধরে চলে এখানকার মেলা। দশ হাজারের বেশি ভক্ত এবং লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় এই মেলায়। করোনা লকডাউনের ফলে এবার চড়ক সংক্রান্তির পূজা ধর্মীয় রীতি মতো পঞ্জিকা অনুযায়ী হলেও মেলা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। প্রশাসনের পরামর্শ মেনে এবার সেখানে কোনো ভক্ত সমাগম হবে না এবং চড়ক সংক্রান্তিতে কোনো অনুষ্ঠান বা মেলা হবে না।
তোড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক তথা মন্দিরের পুরোহিত সুনীল মিশ্র বলেন, তাঁর পঁচাত্তর বছরের জীবনে এখানকার মেলা বা ভক্ত সমাগম বন্ধের অভিজ্ঞতা নেই, তবে তিনি পূর্বপুরুষদের কাছে শুনেছেন ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার ঘোষিত ব্ল্যাকআউটের জেরে মন্দিরের পূজা সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম বাতিল করে দেওয়া হয়। তারপর এই ২০২০ সালে প্রশাসনের পরামর্শ মতো সোস্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে গাজন উৎসব ও মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে।