আমাদের ভারত, ২৮ জানুয়ারি: ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার রিপোর্ট। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া রিপোর্টে জানিয়েছে, বারাণসীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ভেতরে হিন্দুদের দেবীর মূর্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল মসজিদের নীচে। আর এই রিপোর্টকে সামনে রেখেই মুসলিম পক্ষের কাছে জ্ঞানব্যাপী হস্তান্তরের দাবি জানালো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে দাবি করা হয় এএসআই- এর হাতে যে সমস্ত প্রমাণ এসে পৌঁছেছে, তাতে শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে আসা গেছে যে, এটি আসলে একটি হিন্দু মন্দির। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই এখানে আরাধনা করতেন।
পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন মেনে এই অংশটিকে হিন্দু মন্দির বলে ঘোষণা করা উচিত। এমনকি ইন্তেজামিয়া কমিটিকে ভিএইচপি’র তরফেও বলা হয়েছে সত্যিটা মেনে নিয়ে তারা যেন সম্মানের সঙ্গে জ্ঞানব্যাপী হিন্দু তথা কাশী বিশ্বনাথ কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেয় এবং অন্য স্থানে মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা করা হয়।
অলোক কুমার দাবি করেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে জ্ঞানব্যাপী হিন্দুদের হস্তান্তর করলে তা ভারতের সম্প্রীতির আরেকটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সেখানে শিবলিঙ্গ পূজার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এএসআই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হনুমান, গণেশ এবং নন্দীর মতো মূর্তি জ্ঞানব্যাপীর অন্দরে পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, অসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যাকে জড়িয়ে রয়েছে একটি সর্প। সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে জ্ঞানব্যাপীতে পাওয়া বেশ কয়েকটি মূর্তির ছবিও তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে এএসআই রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মুসলিম পক্ষ। তাদের দাবি, এর আগে অ্যাডভোকেট কমিশনের যা পর্যবেক্ষণ ছিল এএসআই নতুন কিছুই পায়নি। শুধু নতুন করে সমস্ত মাপজোকের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে মাত্র।