রাজেন রায়, কলকাতা, ১২ মে: অপরিকল্পিত লকডাউনে রোজগার হারিয়েছেন বহু মানুষ। ধসে পড়েছে দেশের তথা রাজ্যের অর্থনীতি। অথচ লকডাউন যে এখনই উঠবে না, সে কথা বুঝেছেন সকলেই। তাই এবার গ্রিন থেকে অরেঞ্জ জোনের নন-কনটেনমেন্ট এলাকা তো বটেই, এমনকি রেড জোনের মধ্যেও নন-কনটেনমেন্ট এলাকাতেও এলাকাভিত্তিক ভাগে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করার পক্ষে সবুজ সঙ্কেত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই এই ঘোষণা করলেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রেড জোনকে এ, বি ও সি -এই তিন ভাগে ভাগ করে আলাদা পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘এ’ চিহ্নিত এলাকায় কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। ‘বি’ পর্যায়ের জায়গাগুলিতে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে ছাড় দেওয়া হবে। তবে ‘সি’ নির্ধারিত এলাকায় প্রায় সব কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে।
কি কি বিষয়ে ছাড় দেওয়া হতে পারে? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জুয়েলারি, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্সের দোকান খুলবে। মোবাইল সার্ভিস বাদে খাবারের দোকান খুলবে। সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আমদানি ও রফতানি চালু করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ১০০ দিনের শ্রমিক বাড়াতে হবে। রফতানি ও আমদানি চালু করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে আরও ১০০টি ট্রেনের জন্য ছাড় দেওয়া হবে। গ্রামীণ নির্মাণ কাজ-সহ আরও বিভিন্ন ১০০ দিনের কাজের আওতায় শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে।