সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ২০ আগস্ট: লকডাউনে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় যাত্রীরা প্রায় পাঁচ মাস পর দেশে ফিরলেন। উত্তর ২৪ পরগনার স্থলবন্দর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে আসেন। এদিন প্রায় ২৫ জন ভারতীয় দুই দেশের হাইকমিশনের অনুমতি নিয়ে করোনা পরীক্ষা করিয়েই ভারতে আসেন।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে বাংলাদেশে আত্মীয়দের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েন। বাংলাদেশ হাই কমিশনারের মাধ্যমে ভারতে চিঠি করে ফেরার অনুমতি মেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বনগাঁর পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে তারা বাড়ি ফেরেন। যাত্রীরা নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এতদিন পরে বাড়ি ফিরতে পেরে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তারা।
বাংলাদেশ শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, তিনটি শর্তে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ভ্রমণের ভিসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যেকোনও উদ্দেশ্যে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করতে চাইলে উভয় দেশের পাসপোর্ট যাত্রীদের ভারতে যাওয়ার জন্য বৈধ পাসপোর্ট ও ২০২০ সালের ১ জুলাই ইস্যুকৃত ভিসা থাকতে হবে। পাশাপাশি ভারতীয় হাই-কমিশনের অনুমতিপত্র এবং যাত্রীর কোভিড-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে। সেটা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে। আর তখনই ভারতে প্রবেশ করা যাবে। এই শর্তগুলো এবার থেকে মানতে হবে। তারপরই ভারত-বাংলাদেশ প্রবেশের অনুমতি মিলবে পাসপোর্ট যাত্রীদের।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গত ১৩ মার্চ থেকে অনেক ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী আটকে আছে বাংলাদেশে। কিন্তু সেই থেকে ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা নিজ দেশে ফিরতে পারলেও বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীরা এখনও তাদের দেশে ফিরতে পারেননি।