আমাদের ভারত, ২৩ জুলাই: প্রতিদিন হু-হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বে দেড় কোটি ছাড়িয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভাইরাসে এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের। আমাদের দেশও করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। শেষ ২৪ ঘন্টায় ৪৬ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা পরিস্থিতির চেয়েও বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে করোনার পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থাৎ শারীরিক সমস্যা নিয়ে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল গত ২৭ জুন থেকে ১০ জুলাই দিল্লিতে ২১ হাজার ৩৮৭ জনকে নিয়ে সমীক্ষা করে। এদের সকলকের মধ্যে ২৩.৪৮ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টি বডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর হার এখনো কম। তবে নতুন করে সংক্রমিত হওয়ায করোনা ভাইরাস আগের চেয়ে অনেক বেশি ছোঁয়াচে। আর সেই জন্যই হাজার হাজার মানুষ এইভাবে ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে আগের মতো ভাইরাস ততটা প্রাণঘাতী নয়। তবে সুস্থ হবার পর একাধিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে অনেক রোগীদের মধ্যে।
দিল্লির বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য বলছে করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কিডনি, হার্ট বা ফুসফুসের নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ফিরছেন হাজার হাজার মানুষ। চিকিৎসকরা দেখছেন এদের অধিকাংশের মধ্যেই হার্ট বা ফুসফুসের নানা সমস্যা নতুন করে দেখা দিচ্ছে।
সেই জন্যই করোনায় সুস্থতা হার বাড়লেও একবার আক্রান্ত হওয়ার পর তার ক্ষতিকর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। দিল্লী মুম্বাইয়ের মত দেশের একাধিক বড় শহরে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার ১৪ থেকে ১৫ দিন পর অনেকেই সামান্য শ্বাসকষ্ট, তলপেটে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণার মতো একাধিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। তাদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে এদের অনেকের মধ্যেই নতুন করে কিডনি বা হার্ট, ফুসফুসের নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেকের মধ্যেই নতুন করে বুক জ্বালা বদ হজমের সমস্যা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার মত ছোট ছোট সমস্যা দেখা দিচ্ছে। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও অধিকাংশই সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারছেন না। বেশ কিছু ছোট বড় সমস্যা নতুন করে দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে। তবে কিডনি হার্ট বা ফুসফুসের নানা সমস্যা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে চিকিৎসকদের কারণ এগুলো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা।

