আমাদের ভারত, ২৬ ডিসেম্বর: উত্তপ্ত বাংলাদেশে আবারও গণ পিটুনিতে খুন হয়েছেন এক হিন্দু যুবক। এই ঘটনার পর আবার একবার উদ্বেগ প্রকাশ করলে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেছেন, বাংলাদেশে কট্টর পন্থীদের হাতে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সহ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অবিরাম হামলায গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, আমরা সকলেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে অবগত। আমরা বিষয়টি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কী ছিল, কী হওয়া উচিত এবং কী হবে সে বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে অবহিত করেছি। ১৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় দীপু চন্দ্র দাস নিহত হন। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তাকে পিটিয়ে মেরে জ্বালিয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। সেই সময়েও ভারত বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জও।
কিন্তু সেই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বুধবার গভীর রাতে ঢাকা বিভাগের রাজবাড়ি জেলায় পিটিয়ে মারা হয় স্থানীয় যুবক ২৯ বছরের অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাটকে। যদিও কট্টরপন্থী জনতার এই হামলাকে ইউনুসের প্রশাসন তোলাবাজির অভিযোগের মোড়কে ঢাকতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ এই ঘটনার পর জেলা পুলিশ দাবি করেছে, তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে গোলমালের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে।
বুধবার রাতের এই ঘটনার পর সেলিম শেখ নামে অমৃতের আরো এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তেজিত জনতা সম্রাটকে মেরে ফেললেও সেলিমকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। তার থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে বলে দাবি স্থানীয় পুলিশের। স্থানীয় থানার ওসি শেখ মইনুল ইসলামের বক্তব্য, নিহত অমৃতের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।

