আমাদের ভারত, ২৯ জুন: বিয়ে হয়েছিল ১৩ বছর আগে। শুরু থেকেই সংসার তেমন সুখের ছিল না। দিনের পর দিন সংসারে অশান্তি বাড়তে থাকে। কেবল স্বামীর সঙ্গে নয়, শাশুড়ির সাথেও ব্যবহার ছিল খারাপ। পরে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে থাকে সত্যি। পেশায় অধ্যাপক ওই ব্যক্তি জানতেই পারেননি যে তার স্ত্রী আসলে কে? ১৩ বছর ধরে তার কাছ থেকে বড় সত্য লুকিয়ে রেখেছিল স্ত্রী। ১৩ বছর পর অধ্যাপক স্বামী বিচ্ছেদের মামলা করেছেন।
প্রয়াগরাজের সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ১৩ বছর আগে যখন বিয়ে হয় তখন ঐ অধ্যাপক জানতেন তিনি যাকে বিয়ে করছেন সেই মহিলা-অবিবাহিত। কিন্তু অধ্যপক যে এভাবে প্রতারিত হয়েছেন তা জানতে পারলেন উনি ১৩ বছর পর। তার অভিযোগ, শুধু স্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়, শাশুড়ি ও শালিকার বিরুদ্ধেও। বর্তমানে অধ্যাপক জানতে পেরেছেন তার স্ত্রীর আগে বিয়ে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, প্রথম স্বামীর জন্য ধর্ম পরিবর্তন করেছিল ওই মহিলা। ধর্ম বদলে সে মুসলিম হয়েছিল। অথচ অবিবাহিত বলে দাবি করে বিয়ে করে পরে সে অধ্যাপককে বিয়ে করে। আর বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।
অধ্যাপক জানান, তার স্ত্রী অসমের বাসিন্দা। তিনি এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছিলেন এর আগে। এখন পুরো ঘটনাটা সামনে আসার পর স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে চাননি স্বামী। কিন্তু এতকিছুর পরেও নাকি থেমে থাকেনি স্ত্রী। মিথ্যে মামলার হুমকি দিয়েছেন ওই মহিলা। তারপরই বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অধ্যাপক।