আমাদের ভারত, ১০ অক্টোবর: ২০২৬ -এর পর বাংলায় একদল, এক নীতি হবে। এই রাজ্যে একটাই দল থাকবে তৃণমূল। একজনই নেত্রী থাকবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজনই নেতা থাকবেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুয়ারে কড়া নাড়চে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলের বিজয়া সম্মেলন উপলক্ষে তালডাঙড়ায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
বনমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল। তাঁর কথায়, আগামী দিনে ঝান্ডা বাঁধার মতো একটাও খুঁটি যেন বিজেপি না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
যদিও পাল্টা জবাব দিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, উনিতো সদ্য তৃণমূলে এসেছেন। তৃণমূলের ছোঁয়ায় কী ধরনের ভাষা বের হচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে। উনি ঠিকই বলেছেন, এক দলই থাকবে, কিন্তু ওই দল শাসন ক্ষমতায় থাকবে না। সনাতনী বাঙালি, ভারতীয় মুসলমানরা ঠিক করে নিয়েছে, ২৬- এর নির্বাচনের তৃণমূলের বিসর্জন হবে।
এদিকে দলীয় কর্মসূচিতে ত্রিপুরা সফরের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন বীরবাহা।তিনি বলেন, ঐদিন আমার জন্মদিন ছিল। টিফিন করার জন্য কেনা মাত্র ৩০ টাকার কেক থেকে সফরসঙ্গী দলীয় সহকর্মীদের কেক খাওয়ানোর জন্য গত দু’দিন ধরে বিজেপি আমাকে সমানে কটাক্ষ করে গিয়েছে। এর থেকে ওরা প্রমাণ করতে চাইছেন আদিবাসীরা কেক খেতে পারে না।
এর পাল্টায় জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, উনি চাইলে ভালো কেকের দোকান থেকে ভালো কেক পাঠিয়ে দিতে পারি। তবে আদিবাসি সমাজের জন্মদিনে কেক খাওয়ার রীতি নেই। প্রশ্ন উঠছে তিনি আদিবাসী সমাজে আছেন তো? নাকি সমাজচ্যুত হয়েছেন।
কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, বিজেপি যদি ভালো করে দেখেন তাহলে বুঝবেন তৃণমূল মানে কী। একদল, এক ধর্ম, এক জাতি, এক নেতা। এই মনোভাবে যদি বিজেপি চলে তাহলে তৃণমূলেরও তো একই আদল। ওরা শুধুই আধিপত্যবাদে বিশ্বাস করে।

