পুলিশ ফাঁড়ির সামনের দোকানের তালা ভেঙ্গে দুঃসাহসিক চুরি কুমারগঞ্জে, প্রতিবাদে অঘোষিত বনধ ব্যবসায়ীদের, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ বাসিন্দাদের

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৮ জুলাই: পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই দোকানের তালা ভেঙ্গে দুঃসাহসিক চুরি। ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্ত লাগোয়া কুমারগঞ্জের মোল্লাদিঘি এলাকায়। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। চলে ব্যবসা বন্ধ রেখে পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ। শুক্রবার দিনভর এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মোল্লাদিঘি এলাকায়। পরে বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ পথ অবরোধ তুলতে সক্ষম হলেও ব্যবসায়ীদের তরফে দিনভর অঘোষিত বনধ পালিত হয়েছে এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনের মদতেই লাগাতার চুরি চলছে এলাকায়।

কুমারগঞ্জের মোল্লাদিঘিতে বেশকিছুদিন ধরে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাগাতার চুরি চলছে এলাকায়। যার বিরুদ্ধে কোনো সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে একপ্রকার ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। শুক্রবার সকালে ফের এলাকায় দুটি দোকানে তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে দুঃসাহসিক এমন চুরির ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হন ব্যবসায়ীরা। প্রশ্ন তোলেন এলাকার মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। যে ঘটনাকে ঘিরে এদিন সকাল থেকে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় কুমারগঞ্জে। প্রতিবাদে মোল্লাদিঘি বাজারে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন বাসিন্দারা। পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে চলে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ।

জানা যায়, এলাকার মুদি ব্যবসায়ী বাবাই বসাকের দোকান থেকে এদিন তালা ভেঙ্গে প্রায় ৭০ হাজার টাকার সামগ্রী নিয়ে পালায় দুষ্কৃতিরা। একইসাথে এলাকার মোবাইল ব্যবসায়ী সাহাজাহান মোল্লার দোকানের তালাও ভাঙ্গে দুষ্কৃতিরা। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় সেই দোকানে চুরি করতে ব্যর্থ হয় দুষ্কৃতিরা। আর এরই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে অঘোষিত বনধ পালন করে ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতেই ধারাবাহিকভাবে চলছে এলাকায় চুরি। যার বিরুদ্ধেই এদিন সরব হয়েছেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বাবাই বসাক ও সাহাজাহান মোল্লারা বলেন, পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই যদি এমনভাবে দুষ্কৃতিরা তাদের দোকানপাট ভেঙ্গে চুরি করে। তাহলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশের মদতেই ধারাবাহিকভাবে এলাকায় চলছে এসব চুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় বসাক ও বিক্রম বসাকরা বলেন, একই রাতে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুটি দোকানে চুরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রায় প্রতিদিনই এলাকায় লেগেই রয়েছে চুরির ঘটনা। যা নিয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেই পুলিশের। রাতে পুলিশ ও সিভিকরা থাকতেও কিভাবে ফাঁড়ির সামনে থেকে চুরি হচ্ছে? যার বিরুদ্ধে এদিন প্রতিবাদ জানিয়েই সকলে ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন। পুলিশের মদতেই চলছে এসব চুরি।

যদিও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *