জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৪ নভেম্বর: তিন বছর ১১ মাস বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ্ রেকর্ডসে স্বীকৃতি লাভ করল মেদিনীপুরের বিস্ময় শিশু অদ্রীশ পাল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত করে জেলাকে গর্বিত করেছে মেদিনীপুর শহরের কুইকোটার বাসিন্দা খুদে প্রতিভা অদ্রীশ পাল।
ক্ষীরপাই-এর সেন্ট জনস স্কুলের লােয়ার নার্সারির ছাত্র অদ্রীশের বাবা তাপসকুমার পাল ও মা অনিন্দিতা মন্ডল পাল উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। মা অনিন্দিতা মন্ডল পালের প্রশিক্ষণে অদ্রীশ পঁচিশটি কবিতা ও ছড়া মুখস্থ বলতে পারে। এছড়াও ইংরেজীতে সপ্তাহের সাতটি বারের নাম, বারো মাসের নাম, এগারো ধরনের আকৃতির নাম, চৌদ্দ ধরণের রঙের নাম, মানবদেহের ষোলটি অঙ্গের নাম, বারো ধরণের ফল, এগারো ধরণের সবজির নাম বলতে ও চিনতে পারে অদ্রীশ। এছাড়াও কম্পিউটার কী বোর্ডে ইংরেজী বর্ণমালার সব অক্ষর এবং ইংরেজীতে এক থেকে চল্লিশ পর্যন্ত সংখ্যা টাইপ করতে পারে। এই সমস্ত গুণাবলী দেখে তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডস। গতকাল মঙ্গলবার তার চার বছর পূর্ণ হবার দিনে অর্থাৎ জন্মদিনেই সে হাতে পেয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ্ রেকর্ডসের শংসাপত্র, মেডেল, ব্যাজ, আইডেন্টিটি কার্ড, কলম ও স্টিকার। অদ্রীশের এই সাফল্যের স্বীকৃতিতে খুশি তার বাবা-মা সহ পরিবারের অন্যান্যরা এবং পাড়া প্রতিবেশীরা।
উল্লেখ্য, এই অল্পবয়সেই নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে নানা পুরস্কারও শংসাপত্র পেয়েছে অদ্রীশ। মাস কয়েক আগেই একটি আন্তর্জাতিক স্তরের অনলাইন আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় সফল হয়ে পুরস্কৃত হয়েছে অদ্রীশ।
লকডাউন ও করোনা আবহে বিভিন্ন অনলাইন ইভেন্টে অংশ নিয়ে অদ্রীশ ৭৬টি শংসাপত্র অর্জন করেছে। অদ্রীশের এই স্বীকৃতি ইন্ডিয়া বুক অফ্ রেকর্ডসের ২০২২ সালের সংস্করণে, প্রকাশিত হবে।