আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৮ জুলাই: পার্কিং জোনের বিষয়টি ধোঁয়াশায় রেখেই তারাপীঠের কৌষিকী অমাবস্যার প্রাথমিক প্রশাসনিক বৈঠক হল রবিবার। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের সভাকক্ষে সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের চেয়ারম্যান, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায়, মহকুমা শাসক সৌরভ পাণ্ডে, গোবিন্দ সিকদার, হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক আশোক চট্টোপাধ্যায় সহ মন্দির কমিটি।
সভায় পুন্যার্থীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয় মন্দির কমিটি আগের মতোই পুজো দেওয়া কিংবা মা তারার দর্শনের বিষয়টি দেখবে। এবারই প্রথম হোটেল অ্যাসোসিয়েশন পুন্যার্থীদের জন্য একটি সহায়তা কেন্দ্র খুলবে। কারও হোটেল পেতে অসুবিধা হলে সেই সহায়তা কেন্দ্র সাহায্য করবে বলে জানান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পার্কিং জোন কতদূর পর্যন্ত থাকবে, পুন্যার্থীদের ব্যক্তিগত গাড়ি কোন সময় থেকে রামপুরহাটের মনসুবা মোড়ে বন্ধ করা হবে সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে।
আশিসবাবু বলেন, “আমরা প্রস্তাব দিয়েছি পার্কিং, চিলার মাঠ পর্যন্ত করতে হবে। কমার্শিয়াল পার্কিংয়ের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। এরপর জেলা শাসককে নিয়ে ফের বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।
হোটেল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতিবছর নিয়ম ভেঙে প্রশাসন পুন্যার্থীদের গাড়ি প্রায় ছয় কিলোমিটার আগে আটকে দেয়। ফলে হোটেল বুকিং করেও নিজের গাড়ি নিয়ে তারাপীঠে পৌঁছোতে পারে না পুন্যার্থীরা। এমনকি গাড়ি রাখার কোনো বৈধ পার্কিং জোন থাকে না। ফলে বহু পুন্যার্থী বাধ্য হয়ে ফিরে যান। এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বহু পুন্যার্থী গত বছর মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন কৌষিকী অমাবস্যায়। ফলে বহু হোটেল ছিল ফাঁকা। কিন্তু এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে সেই বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “মন্দিরে পুন্যার্থীদের সুবিধা অসুবিধার বিষয়টি আমরা দেখব। মায়ের দর্শন পেতে নিয়ম মাফিক মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে। তবে লক্ষ লক্ষ পুন্যার্থীকে ওইদিন গর্ভগৃহে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। বাইরে মায়ের চরণ রাখা থাকবে। সেখান থেকেই মা তারার দর্শন করতে হবে”।