আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৮ মার্চ:
দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের ফলে গাড়ি চলাচল, পণ্য আদান প্রদান একেবারেই বন্ধ। ফলে সমস্যায় পড়েছেন জরুরি পণ্য আদান প্রদানকারী সংস্থা থেকে শুরু করে জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত মানুষজন। এই সমস্যা কাটাতে এবার ই পাসের ব্যবস্থা করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সর্বস্তরে জরুরি পরিষেবা ও জরুরি কাজের জন্য যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। আর সেই কারণে মহকুমা ভিত্তিক বিভিন্ন সরকারি আধিকারিককে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন আগেই করোনা মোকাবিলার জন্য জেলা ও মহকুমা স্তরে কন্ট্রোল রুম খুলেছে। সেখান থেকেই জেলার সমস্ত বিষয়ের উপর নজরদারি চলছে। পাশাপাশি এবার জেলার আভ্যন্তরীণ ও কলকাতার সাথে জেলার জরুরি পরিষেবার জন্য যান চলাচল চালু রাখতে এই ই পাসের ব্যবস্থা চালু করল জেলা প্রশাসন। শনিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসক ডঃ পি উল্গানাথন এ বিষয়ে আলিপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। মূলত হোয়াটস অ্যাপেই মিলবে এই ই-পাস। জরুরি পরিবহনের জন্য যে ব্যক্তি আবেদন করবেন তিনি হোয়াটস অ্যাপেই আবেদন জানাতে পারবেন। নিজের পরিচয় পত্র ও প্রয়োজনীয় বিবরণ দিয়ে মহকুমা স্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলে সেই আবেদন খতিয়ে দেখে আধিকারিকরা হোয়াটস অ্যাপেই অনুমতি বা ই-পাস দিয়ে দেবেন আবেদনকারীকে। ফলে বিনা বাধায় আবেদনকারী তার জরুরি প্রয়োজন মিটিয়ে আসতে পারবেন।
লকডাউন ঘোষণার পরও কিছু মানুষ যেমন অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরচ্ছেন, তেমনি কিছু মানুষ যাদের জরুরি প্রয়োজন যেমন ওষুধের ব্যবসায়ী, মুদি ব্যবসায়ীর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবসায়ী অথবা অসুস্থ রোগী ও তার পরিবার রাস্তায় বের হচ্ছেন। কিন্তু লকডাউনকে সফল করতে করোনাকে মোকাবিলা করতে বদ্ধ পরিকর প্রশাসন রাস্তায় তাদের আটকাচ্ছেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনে মানুষজন তাদের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পারছেন না, তেমনি অনেকেই আবার অপ্রয়োজনে বাইরে বেরচ্ছেন। এই সমস্যার সমাধানের জন্যই ই-পাস চালু করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক বলেন, “ জরুরি দরকারে মানুষ যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন সেই কারণেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনাকে মোকাবিলা করার জন্য সামাজিক দূরত্ব ভীষণ প্রয়োজন। তাই অযথা বাড়ির বাইরে বের হবেন না। জরুরি প্রয়োজনে সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ির বাইরে বের হন। প্রশাসনকে সাহায্য করুন করোনাকে মোকাবিলার জন্য”।