স্বররূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৬ নভেম্বর: বাজারে আলু পিঁয়াজ অগ্নিমূল্য। ব্যাবসায়ীরা কালোবাজারি করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রায়গঞ্জের বাজারগুলিতে অভিযান চালালো প্রশাসনের কর্তারা। রায়গঞ্জের বিডিও রাজু লামা, ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা এবং রায়গঞ্জ থানার আইসি’র নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল হানা দেয় বাজারগুলিতে। আলু পিঁয়াজের আড়তদারের গুদামে হানা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। প্রশাসনের এই নজরদাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই খুশী ক্রেতা থেকে সাধারন মানুষ।
রায়গঞ্জের বাজারগুলিতে আলু প্রতি কেজি ৪৫ টাকা এবং পিঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই আলু পিঁয়াজ কিনতে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্ত থেকে সাধারন মানুষের। কৃত্রিম অভাব তৈরি করে বাজারে আলু পিঁয়াজের কালোবাজারি ও অস্বাভাবিক দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা এই অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রায়গঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় বাজার মোহনবাটি বাজারে অভিযান চালালো জেলা প্রশাসনিক কর্তারা।
অভিযানে শামিল হন জেলা এনফোর্সমেন্টের আধিকারিক, রায়গঞ্জের বিডিও রাজু লামা, ডি এস পি ডি ই বি পি কে সিনহা এবং রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা সহ রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। বাজারে গিয়ে আলু পিয়াজের আড়ৎদাড়দের গুদামে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালান তারা। কোনও ব্যাবসায়ী যাতে বেশী দাম না নেন তা নজরে রাখার পাশাপাশি কালোবাজারি রুখতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। রায়গঞ্জ মোহনবাটি বাজারের পাইকারি আলু পিয়াজ ব্যাবসায়ী জানিয়েছেন চাহিদার তুলনায় আলু ও পিঁয়াজের জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাঁরা যেদামে আলু কিনে আনছেন মাত্র ১০-২০ টাকা প্রতি বস্তায় লাভ রেখে বিক্রি করছেন। ব্যাবসায়ীদের দাবি, তারা অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন না। তারা এও জানান যতদিন না নতুন আলু বাজারে আসবে ততদিন এইরকম দামই থাকবে বাজারে। ডি এস পি ডি ই বি পি কে সিনহা জানিয়েছেন, বেশি দাম নেওয়া বা কালোবাজারি যাতে না হয় সেজন্য আজকে বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। ব্যাবসায়ীদের বেশি দাম না নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ বেশি দাম নেন বা কালোবাজারি করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।