পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৭ আগস্ট: রাষ্ট্রীয় আদিবাসী একতা পরিষদের ভারত বনধের মিশ্র প্রভাব পড়ল জঙ্গলমহলে। মণিপুরে আদিবাসী মহিলাদের উপর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল রাষ্ট্রীয় আদিবাসী একতা পরিষদ। সোমবার সকাল থেকে বনধের প্রভাবে ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র পাঁচ মাথার মোড়ে দেখা গেল না কোনো যাত্রীবাহী বাস। রাস্তায় দেখা মেলেনি পণ্যবাহী দূরপাল্লার লরিরও। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তায় নামে।
ঝাড়গ্রাম শহরের সবজি মার্কেট, মাছ মার্কেট, জুবলি মার্কেট, কোর্ট রোড সংলগ্ন বাজার এবং শহরের মেন রাস্তার দু’পাশেরই সিংহভাগ দোকান খোলা ছিল। রাস্তায় মানুষজনের ভিড় ছিল স্বাভাবিক দিনের তুলনায় যথেষ্ট কম। ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের পাশাপাশি বেলপাহাড়িতেও দোকান বাজার খোলা ছিল। কিন্তু রাস্তায় কোনো যাত্রীবাহী বা পণ্যবাহী লরির দেখা মেলেনি। গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, লালগড়, গিধনী সমস্ত জায়গাতেই চিত্রটা একই ছিল। দোকান বাজার খোলা থাকলেও রাস্তায় যানবাহনের দেখা ছিল না। কেবলমাত্র ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি চলাচল করেছে। ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথার মোড় থেকে যাত্রীরা গাড়ি ভাড়া করে বা টোটোতে করে তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে দুধের গাড়ি আসেনি, ঝাড়গ্রামের মাছ মার্কেটে মাছের গাড়ি স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম সংখ্যায় এসেছে।
প্রসঙ্গত, আদিবাসীদের অন্যান্য সামাজিক সংগঠন যেমন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল বা আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান এই সমস্ত সংগঠনের ডাকা বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় আদিবাসী একতা পরিষদের ডাকা বনধের তেমন একটা প্রভাব পড়ল না ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে। এদিন রেল পরিষেবাও স্বাভাবিক রয়েছে।