আমাদের ভারত, ৬ মার্চ: ১৪০ দিনের মাথায় পরলো ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশের নবম দশম ও একাদশ দ্বাদশ স্তরের মেধা তালিকাভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষকদের আন্দোলন। প্রবল ঠান্ডা, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই অবিরাম আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এই মেধা তালিকাভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। আজ তাদের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। নিজেদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
মেধা তালিকাভুক্ত হয়েও চাকরি থেকে বঞ্চিত এই শিক্ষক পদপ্রার্থীর প্রথম দফায় ডাক পেলেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের নম্বর ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেনি। ১:১.১৪ অনুপাতের নিয়োগের গেজেটকে লংঘন করা হয়েছে। মেধাতালিকায় সামনের দিকে তাদের নাম থাকলেও নিয়োগ পাননি বহু প্রার্থীরা। বরং সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেছে মেধাতালিকার পিছনে থাকা প্রার্থীদের। অভিযোগ অবৈধভাবে নিয়োগ হয়েছে।
আর সেই অভিযোগেই বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের এই বৃহত্তম অবস্থান-বিক্ষোভ অনশন চলছে। এই নিয়ে তৃতীয় বার তারা অনশনে বসেছে। এর আগে ২০১৯ সালে প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিন অনশন চালিয়েছিল তারা। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান-বিক্ষোভ অবস্থান করেন তারা। এরপর গত বছর ১৮ অক্টোবর থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের ধর্ণা শুরু হয়। আজ সেই ধর্ণা ১৪০ দিনে পড়েছে। তার সঙ্গে চলছে আমরণ অনশন। অসুস্থ অবস্থায় অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি।
মেধাতালিকায় না থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি এই মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। ২০১৯ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মেধা তালিকাভুক্ত কোন প্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে না। ২০১৯ সালের দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে এসেও কার্যকর হয়নি।