আমাদের ভারত, মুর্শিদাবাদ, ৬ জানুয়ারি: যারা দেশের ক্ষমতায় এসেছে তাদের রাজনীতি ও মূল ভাবধারা হল দেশের সাম্প্রদায়িকরণ। বহরমপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে একাধিক ইস্যুতে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল সর্ব ভারতীয় মজলিসে-ই-ইত্তেহাদুল ও ভারতীয় জনতা পার্টিকে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
মিমকে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী বলেন, এরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশয় দেয়। বাংলাতে স্বাধীনতা পর কখনও আমরা দেখিনি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও জাতপাতের রাজনীতি, এটা নতুন অভিজ্ঞতা। সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির পর আসবে
জাতপাতের রাজনীতি। কে ব্রাহ্মন কে সুদ্র এসব আসবে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার সচেতন নাগরিককে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। জনসংখ্যার ৮০শতাংশের উপর হিন্দু, জন সংখ্যার ১৫-১৬ শতাংশ মুসলিম। যদি মুসলিম সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মাথাচাড়া দেয় তাহলে সব থেকে লাভ হবে সাম্প্রদায়িক বিজেপি দলের। আজ যারা দেশের ক্ষমতায় এসেছে তাদের রাজনীতি মূল ও ভাবধারা দেশের সাম্প্রদায়িকরণ। ধর্মীয় মেরুকরণ যদি একটি শাসক দলের উদ্দেশ্য হয় তাহলে তা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে দেশকে নিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। স্বাধীনতার পর কখনও পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার প্রচলন ছিল না। আজ বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিতে ক্রমশ জড়িয়ে যাচ্ছি। আজ বিজেপি চাইছে হিন্দুদের জন্য যে দলটি হবে সেটি ভারতীয় জনতা পাটি, আর মুসলিম সাম্প্রদায়িক দল যদি মনে করে তাদের ইচ্ছা মত দল নির্বাচন করবে তাহলে বিজেপি হাত শক্ত হবে বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।
পাশাপাশি অধীর চৌধুরী এও বলেন, একশো বছর ধরে বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে কে ঠেকিয়ে রেখেছিল? ভারতে জাতীয় কংগ্রেস ধর্ম নিরপেক্ষ উদার রাজনীতি করেছে, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবিলা করতে আর একটা সাম্প্রদায়িক শক্তি নয়, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবিলা করতে একটা ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি দরকার। মুসলিম, খ্রিষ্টান, শিখ সবাই থাকবে যেমন এতদিন ছিল।ভারতবর্ষকে রক্ষা করতে ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।